সংক্ষিপ্ত
গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল গোত্রীত্ব জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনায় মানিকচক থানায় অভিযোগ তোঁর জামাইবাবুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই গৃহবধূ।
মালদহে ( Malda) গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল গোত্রীত্ব জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। কোনওক্রমে বেঁচে পুলিশের দ্বারস্থ ওই গৃহবধূ। ঘটনায় চাঞ্চল্য মালদহের মানিকচক থানার লক্ষ্মীকোল এলাকায়।সোমবার ঘটনায় মানিকচক থানায় ( Malda Manikchak Police station) অভিযোগ তোঁর জামাইবাবুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই গৃহবধূ।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম জীবন মন্ডল মানিকচকের সোনাপুর এলাকার বাসিন্দা। লক্ষীকোল এলাকার বাসিন্দা চন্দ্রগ্রহণ মন্ডলের কন্যার সাথে বিবাহ হয় সেই পরিবারের তিনি জামাই।গৃহবধূ ও তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার নিজ ঘরেই ছিলেন ওই গৃহবধূ। তখনই অভিযুক্ত জামাইবাবু জীবন মন্ডল গৃহবধূর বাড়িতে যাই। স্বামী বাড়িতে না থাকায় একাই ছিলেন ওই গৃহবধূ। তখনি ফাঁকা বাড়ি সুযোগ নিয়ে গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। তৎক্ষণাৎ ওই গৃহবধূ চিৎকার শুরু করেন।স্বামী সহ প্রতিবেশীরা ছুটে আসার আগে চম্পট দেয় অভিযুক্ত।গৃহবধূ জানান, ধর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছিল। তখনই অভিযুক্তর হাতে আঘাত করে চিৎকার শুরু করতেই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। পরিবারের কেউ জুটে না আসলে খারাপ ঘটনা ঘটে যেত। এর পর স্বামী-সহ পরিবারের লোকেদের নিয়ে মানিকচক থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয় ওই গৃহবধূ। অভিযুক্ত জামাইবাবুর জীবন মন্ডলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মানিকচক থানা।ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী জানান, 'গোত্রীত্ব বোনজামাই হয় অভিযুক্ত জীবন মন্ডল। এই ঘটনার পর থানায় যাতে অভিযোগ না করে তার জন্য চাপ দেয় আত্মীয়রা। অভিযোগ করলে মারধর করা হবে এমন হুমকি দেওয়া হয়েছে। তারপরও ন্যায় বিচারের আশায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। সমস্ত ঘটনা পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। যাতে উচিত শাস্তি হোক সেটাই চাই।'
প্রসঙ্গত, নতুন বছরে ফের একের পর এক নিগৃত ইস্যু প্রকাশ্য়ে উঠে আসছে। কোথাও ধর্ষণ , আবার কোথাও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠে আসছে। গত বছর একটি ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল সোনারপুরে। তবে সেটা জামাইবাবু নয়, কাঠগোড়ায় ছিল কোদ হবু স্বামী। শহরের উঠতি এক মডেলকে ফাঁকা বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল হবু স্বামীর বিরুদ্ধেই। ঘটনার জেরে বিয়ের আগেই অন্তস্বত্ত্বা হয়ে পড়লে ঘটনায় মারধর ও জোর করে ঘরে আটকে রাখা ও খুনের হুমকি দেওয়া হয়। ভয় দেখিয়ে জোর করে অ্যাবরসন করানোর অভিযোগ ওঠে। নির্যাতিতার অভিযোগ সোশাল মিডিযার মাধ্যমে দেড় বছর আগে তাদের আলাপ হয়। তারপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই পরিবার একসঙ্গে বসে তাদের বিয়ের ডেটও ঠিক করে। তার আগেই বাবা ও মায়ের সাথে বিয়ে নিয়ে কিছু জরুরি আলোচনার নাম করে ফাঁকা বাড়িতে ডেকে তাঁকে জোর করে ধর্ষন করে বলে অভিযোগ। তবে শুধুই ধর্ষণের চেষ্টাই নয় এই মুহূর্তে মালদহে একের পর এক অপরাধের খবর আসছে। কিছুদিন আগেই পুলিশের দ্বারা ভয়াবহ ডাকাতির খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। আর তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ধর্ষনের চেষ্টা অভিযোগে কার্যত মালদহে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।