সংক্ষিপ্ত
- দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার নরেন্দ্রপুরের ঘটনা
- দাদার দেহ আগলে ছিলেন বোন
- দু' দিন আগে বৃদ্ধের মৃত্যু বলে অনুমান পুলিশের
অন্তত দু' দিন ধরে দাদার মৃতদেহ আগলে রইলেন বোন। দেহ পচে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে প্রতিবেশীর পুলিশকে খবর দেন। সোনারপুর থানার পুলিশ এসে উদ্ধার করে অঞ্জন কুমার দে(৭০) নামে এক বৃদ্ধের পচাগলা মৃতদেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সোনারপুর থানার অন্তর্গত নরেন্দ্রপুর এলাকার শেরউড নামক নামী আবাসন এলাকায়।
দীর্ঘদিন ধরেই দুই ভাই বোন অঞ্জন কুমার দে ও মিনতি দে এই আবাসনের বি ব্লকের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। গত দু' তিনদিন ধরে তাদের কাউকেই ফ্ল্যাট থেকে বের হতে দেখা যায়নি। এ দিন আশপাশের ফ্ল্যাটের মানুষ পচা গন্ধ পেলে তারাই এ বিষয়ে সোনারপুর থানায় জানান। ঘটনার খবর পেয়ে সোনারপুর থানার পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে ওই আবাসনে এসে নিরাপত্তারক্ষীদেরকে সঙ্গে নিয়ে ফ্ল্যাটের দরজায় ধাক্কা দিলে দরজা খুলে দেন বছর সাতষট্টির মিনতি দেবী। তখনই পুলিশকর্মীরা ফ্ল্যাটের মধ্যে ঢুকে দেখেন অঞ্জনবাবুর দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। আর সেই দেহ থেকেই ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অন্তত দুই থেকে তিন দিন আগেই ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিগত প্রায় দশ বছর ধরে এই অভিজাত আবাসনে থাকতেন ভাই বোন। পেশায় আইনজীবী অঞ্জনবাবু এবং তাঁর বোন মিনতি দেবী সেভাবে এই আবাসনের অন্যান্য আবাসিকদের সঙ্গে মেলামেশা করতেন না। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃদ্ধের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে কীভাবে অঞ্জনবাবুর মৃত্যু হল, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।