সংক্ষিপ্ত

খুনের ঘটনায় ৭ জুন নলহাটির মোড়লপাড়ার বাসিন্দা মইনুদ্দিন শেখ ওরফে মাইনুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৭ জুন আত্মসমর্পণ করেছিল নলহাটির শেখ পাড়ার বাসিন্দা আজিমুদ্দিন শেখ। ২৮ আগস্ট আত্মসমর্পণ করেছিল নলহাটির ছায়াপল্লির বাসিন্দা ইমরান শেখ।

ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় প্রথম চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। নলহাটিতে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় রামপুরহাট আদালতে চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে ওই চার্জশিটে কি রয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। এনিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি সিবিআই আধিকারিকরা। 
    
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৪ মে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল মনোজ জয়সওয়াল (৪২) নামে এক ব্যবসায়ীকে। তাঁর বাড়ি কলকাতায় হলেও ব্যবসার কারণে বীরভূমের নলহাটি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের জগধারীপাড়া এলাকায় থাকতেন তিনি। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর আর ফেরেননি। দুপুরের দিকে নলহাটি মুরারই রাস্তায় মধুরা গ্রাম যাওয়ার ক্যানেলের ধারে দুষ্কৃতীরা তাঁকে পিটিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। একসময় তৃণমূলের সব অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গেলেও বিধানসভা নির্বাচনের কিছু দিন আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপির অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছিল। 

ওই খুনের ঘটনায় ৭ জুন নলহাটির মোড়লপাড়ার বাসিন্দা মইনুদ্দিন শেখ ওরফে মাইনুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৭ জুন আত্মসমর্পণ করেছিল নলহাটির শেখ পাড়ার বাসিন্দা আজিমুদ্দিন শেখ। ২৮ আগস্ট আত্মসমর্পণ করেছিল নলহাটির ছায়াপল্লির বাসিন্দা ইমরান শেখ। এছাড়াও এখনও গ্রেফতার হয়নি নলহাটির করিমপুরের ফারুক আলি ওরফে বাদল এবং পশ্চিম বিদু পাড়ার বাসিন্দা জাহিদি হাসান ওরফে ছোটোন। 

আরও পড়ুন- টানা ৬দিন বন্ধ থাকবে তারাপীঠ মন্দির, কৌশিকী অমাবস্য়ায় ভিড় এড়াতে এই সিদ্ধান্ত

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিংসার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপর এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার শুনানির পর ধর্ষণ ও খুনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই মতো তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এই প্রথমবার চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। চার্জশিটে নাম রয়েছে মইনুদ্দিন শেখ ও ইমরান শেখের। ইতিমধ্যে জামিনে ছাড়া পেয়েছ আজিমুদ্দিন শেখ।

আরও পড়ুন, Post Poll Violence:রাজ্য পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের এবার তলব করল CBI
    
ওই মামলার সরকারি আইনজীবী মহম্মদ বাসির বলেন, “ধৃত মইনুদ্দিন শেখের জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। আমি সেই আবেদনে আপত্তি জানিয়েছি। এদিন সিবিআই তদন্ত করে দু'জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে। বাকি দু'জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাবে। মোট ৩৮০ পাতার একটি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। এবার থেকে মামলা সিবিআই দেখবে।”

আরও পড়ুন- শুধু গবেষক ছাত্রীই নয়, যাদবপুরের অধ্যাপকের ফাঁদে আরও অনেকে
    
মামলার অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমারা মইনুদ্দিন শেখের জন্য জামিনের আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সিবিআইয়ের আইনজীবী আপত্তি করায় জামিন হয়নি। তবে দুঃখের বিষয় হল এই মামলায় ৭২ দিন জেলে থাকার পর জামিনে মুক্ত আজিমুদ্দিন শেখের বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিট দেয়নি সিবিআই। তাদের আইনজীবী আদালতে দাঁড়িয়ে জানিয়েছেন এই মুহূর্তে তার বিরুদ্ধে খুনের কোনও যোগ পাওয়া যায়নি।”

YouTube video player