সংক্ষিপ্ত

ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য। সিবিআই তদন্ত নিরপেক্ষ হবে না বলেও অভিযোগ। 

ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গত ১৯ অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্ট ধাক্কা খায় রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে ওঠা হত্যা আর ধর্ষণের ঘটনার তদন্তের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। নদিয়া, বীরভূম, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনাসহ একাধিক জেলায় তদন্ত শুরু করেছে। তারই মধ্যে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য সরকার। 

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই চলছে সিবিআই। তাই রাজ্য সরকার নিরপেক্ষ তদন্ত আশা করছে না । রাজ্য সরকারের আরও অভিযোগ, সিবিআই তৃণমূল নেতা আর রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড়ে বেশি মনোনিবেশ করেছে। ইতিমধ্যেই একাধিক এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এক বিজেপি কর্মী খুনের অভিযোগে গ্রেফতারও করা হয়েছে। 

ঠিক কেমন হবে নতুন তালিবান সরকার, রইল আফগানিস্তানে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের টুকিটাকি

রাশিয়ার সেনা মহড়া ZAPADতে অংশ নেবে ভারত, 'পর্যবেক্ষক'র ভূমিকায় চিন ও পাকিস্তান

'নতুন প্রজন্মকে আর যুদ্ধে পাঠাব না', আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে মন্তব্য জো বাইডেনের

রাজ্যে নির্বাচনী ফল প্রকাশের পরেই হিংসার ঘটনা ঘটতে থাকে এই রাজ্যে। বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের নিশানা করা হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের পক্ষে। বিজেপির অভিযোগ ছিল ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে তাদের একাধিক কর্মী এখনও বাড়ি ছাড়া রয়েছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে। মহিলাকর্মীদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের পর বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল এবার বিজেপি কর্মীরা ন্যায় বিচার পাবে।  অন্যদিকে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে এই রাজ্যে এসেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি দল। তারাও যাদবপুরে আক্রান্ত হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। যাই হোক নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগে রাজ্যের প্রধান দুই দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি রীতিমত যুযুধান। কারণ কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পরেই তৃণমূল নেতা সৌগত রায় বলেছিলেন, তারা আদালতের রায়কে সবসময়ই সম্মান জানান। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হবে না। কিন্তু রাজ্য যে আইনি পথে লড়াই করবে তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন সমস্ত দিক দেখে চিন্তাভাবনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। 

YouTube video player