সংক্ষিপ্ত

বেশ কয়েকঘন্টা অবরোধের জেরে রাস্তায় আটকে পড়লেন দূর দুরান্তের পর্যটকরা। অযোধ্যায় সরকারি কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে আটকে পড়লেন খোদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। গাড়ি থেকে নেমে সভাধিপতি গ্রাম বাসিদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পরেই উঠল অবরোধ।

বর্ষশেষের মুখে প্রশাসনিক জটিলতা(Administrative complexity) নিয়ে ক্রমেই চাপাউতর বাড়ছে পুরুলিয়ায়। স্থানীয় ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ বহুদিন থেকেই করে আসছেন এলাকাবাসী। এ ছাড়াও গ্রামে ঢোকার রাস্তা নেই,পানীয় জল সমস্যায় ভুগছেন একের পর এক গ্রাম। প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও হয়নি সুরাহা। বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদে সামিল হলেন পুরুলিয়ার আড়শা ব্লকের শটরা মিশিরডি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। একাধিক দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের(Protesting residents blocking road)। পুরুলিয়ার আড়শা থানার(Arsha police station in Purulia) মিসিরডি এলাকার এই অবরোধ এর জেরে তৈরি হয় যানজট। বেশ কয়েকঘন্টা অবরোধের জেরে রাস্তায় আটকে পড়লেন দূর দুরান্তের পর্যটকরা। অযোধ্যায় সরকারি কর্মসূচিতে(government program in Ayodhya) যাওয়ার পথে আটকে পড়লেন খোদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। গাড়ি থেকে নেমে সভাধিপতি গ্রাম বাসিদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পরেই উঠল অবরোধ।

সূত্রের খবর, এই এলাকায় ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে নানা সমস্যায় পড়ছেন চাষীরা। ধানের টোকেন পেতে গেলে দিতে হচ্ছে ২ হাজার টাকা করে ঘুষ। এসবের প্রতিবাদেই বিক্ষোভ বাসিন্দাদের। উল্লেখ্য, সেচের ব্যবস্থা না থাকায় পুরুলিয়ায় মূলত এক ফসলা চাষ হয়। এবছর ঘন ঘন দুর্যোগের কারনে সেই এক ফসলা আমন ধান চাষ করতে নানান সমস্যায় পড়তে হয়েছে চাষীদের। এবার সেই কষ্টের চাষের ফসল বিক্রি করতে গিয়ে ঘুষ দিতে গিয়ে গোদের উপর বিষ ফোঁড়া অবস্থা।তার ফলে আরও সমস্যা বেড়েছে কৃষকদের।

আরও পড়ুন-বামেদের নির্বাচন কমিশন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, গ্রেফতার ৩২০ বাম-নেতা কর্মী, দাবি বিমানের

চাষীদের অভিযোগ ধান যেখানে ৪৫ টাকা কুইন্টাল নেওয়ার কথা সেখানে মাত্র ২০ টাকা কুইন্টাল নেওয়া হচ্ছে। একই সাথে ধান বিক্রি করতে যে টোকেন কাটতে হচ্ছে তার জন্যে লাইনের জন্যে রাতভর দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, টোকেনেও চলছে কালোবাজারি। টোকেন পেতে গেলে দিতে হচ্ছে ঘুষ। একই সঙ্গে জমি সংক্রন্ত রেকর্ড সহ ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের নানান বেনিয়মের জন্যে বিপাকে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ফলে নানান সরকারী সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন তারা, এমনটাই অভিযোগ। রাস্তার বেহাল দশা থেকে পানীয় জল পরিষেবা নিয়ে সমস্যার প্রতিবাদে এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি। এদিকে অবরোধের জেরে সমস্যায় পড়তে হয় কলকাতা থেকে আসা পর্যটকদেরও। যদিও অবস্থা সামাল দিতে ঘটনা স্থলে পৌছায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি, স্থানীয় ব্লক আধিকারিক সহ পুলিশ। পরে বিডিও ও সভাধিপতি, সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।