সংক্ষিপ্ত
বামেদের নির্বাচন কমিশন অভিযান ঘিরে বেঁধে গেল ধুন্ধুমার কাণ্ড। এমনকী পুলিশের সঙ্গে বাম নেতা-কর্মীদের ব্যাপক ধস্তাধস্তিও হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রবীন দেব, কল্লোল মজুমদার-সহ বামফ্রন্টের একাধিক শীর্ষ নেতাকে আটক করে পুলিশ।
কলকাতা পুরভোট(Kolkata Municipal election) মিটতে না মিটতেই রাজ্যের অন্যান্য পৌরসভাগুলিতে বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। এদিকে হাওড়া নিয়ে জটিলতা এখনও অব্যাহত। এমতাবস্থায় বামেদের নির্বাচন কমিশন অভিযান ঘিরে বেঁধে গেল ধুন্ধুমার কাণ্ড। এমনকী পুলিশের সঙ্গে বাম নেতা-কর্মীদের ব্যাপক ধস্তাধস্তিও হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রবীন দেব, কল্লোল মজুমদার-সহ বামফ্রন্টের একাধিক শীর্ষ নেতাকে আটক করে পুলিশ। শুধু চার পৌরনিগম নয়৷ হাওড়াতেও(Howrah) দ্রুত করাতে হবে নির্বাচন। বুধবার এই দাবি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) সামনে বিক্ষোভে নেমেছিলেন বামফ্রন্টের কর্মী-সমর্থকরা(Left Front activist-supporter)। কিন্তু তাদের দাবি বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করতে না করতেই তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে পুলিশ। চলে লাঠিচার্জ। ১৪৪ ধারা ভাঙায় পুলিস ৩২০ জন বাম নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু(Left Front Chairman Biman Basu)। এই ঘটনাকতে ঘিরেই বর্তমানে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাংলার রাজ্য-রাজনীতিতে।
বামেদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের অঙ্গুলিলেহনেই কাজ করে চলেছে নির্বাচন কমিশন(Election Commission)। তাদের নিজস্ব কোনও অভিমত থাকছে। রাজ্য সরকার যখন যেখানে চাইছে সেখানে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হাওড়াত বারংবার দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানালো হলেও তাতে কর্ণপাত করেনি কমিশন। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পুলিশ ভ্যানে উঠেও রাজ্য সরকারের তুলোধনা করতে দেখা যায়বাম নেতা কল্লোল মজুমদারকে। তাঁর কথায়, এই সরকার অসভ্য, এই সরকার বর্বর। নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের অফিসে গিয়ে নির্বাচন কমিশন চালায়। গোটা রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে। এটাই আজকের পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা।”
আরও পড়ুন-মধ্যমগ্রাম ফ্লাইওভারের নীচে ধুন্ধুমার, মুকুল রায়ের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ SFI-এর
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টে দেওয়া হলফনামায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ২২ জানুয়ারি হাওড়া, শিলিগুড়ি, আসানসোল, বিধাননগর ও চন্দননগর পুরনিগমের ভোট। কিন্তু, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস ওই তালিকা থেকে হাওড়াকে বাদ রাখেন। এরপরই বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ে কমিশন। হাওড়ায় কেন পুরভোট হবে না, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। কমিশন কেন হলফনামায় দেওয়া কথা রাখল না, তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেও গিয়েছেন বিরোধীরা। কিন্তু এই বিষয়ে এখনও বিশেষ সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এদিকে বিজেপি-র পাশাপাশি বামেরাও রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করানোর তীব্র বিরোধিতা করছে। তাদেরও সাফ দাবি, রাজ্য পুলিশ দিয়ে নির্বাচন করালে, কলকাতা পুরভোটের মতোই শাসকদল ভোট লুঠ করবে। সেই কারণেই প্রয়োজন আধা সেনার।