সংক্ষিপ্ত
- করোনা আতঙ্কে কোপ রথযাত্রায়
- মাহেশে গড়াল না রথের চাকা
- রীতি মেনে মন্দিরে চলল পুজো-পাঠ
- রথের চাকায় প্রণাম সেরে ফিরলেন ভক্তেরা
ছ'শো ছব্বিশ বছরে এই প্রথম, করোনা আতঙ্কে বন্ধ থাকল মাহেশের রথযাত্রা। এবার আর রথে চেপে মাসির বাড়ি যাওয়া হল না জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার। সীমিত সংখ্যক লোক নিয়ে মন্দিরেই চলল আচার-অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন: শাটডাউনের শ্রীক্ষেত্রে অবশেষে মাসির বাড়ির পথে জগন্নাথ দেব, রথ টানছেন সেবায়েতরা
করোনা আতঙ্কে থরহরিকম্প অবস্থা সকলেরই। এতদিন তবুও সবকিছু বন্ধ ছিল, আনলক পর্বে যেন বিপদের আশঙ্কা আরও বাড়ছে। যতদিন যাচ্ছে, ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। উৎসবহীন বাংলায় এবার কোপ পড়ল রথযাত্রায়ও। মে মাসের শেষের দিকে মাহেশের মন্দির পরিদর্শনে যান হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। তখনই মন্দির কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের তরফে রথযাত্রা না করার কথা ঘোষণা করে দেওয়া হয়।
মহাত্ম্যের বিচারে পুরীর পরই কিন্তু মাহেশের রথযাত্রার স্থান। প্রতিবছর রথের রশিতে টান দেওয়ার মানুষের ঢল নামে হুগলির প্রাচীন এই জনপদে। করোনা আতঙ্কে সেই রথযাত্রা উৎসবের জৌলুস উধাও। একলা রথ, রশিতে টান দেওয়ার কেউ নেই। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রথ না বেরোলেও চিরাচরিত রীতি মেনে মঙ্গলবার মন্দিরে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার পুজো হবে। তবে ২৫ জনের বেশি লোককে মন্দির ঢুকতে দেওয়া হবে না। বিকেলে তিনটি বিগ্রহকে মন্দিরের চাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হবে অস্থায়ী মাসির বাড়িতে। এরপর নারায়ণশিলাকে রথের চারদিকে তিনবার প্রদক্ষিণ করিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে মূল মাসির বাড়িতে।
আরও পড়ুন: বর্ষার পাশাপাশি তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ, সপ্তাহ জুড়েই চলবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টি
এদিকে আবার মঙ্গলবার সকাল থেকে মাহেশ ভক্তদের আনাগোনা বিরাম নেই। যাঁরা আসছেন, তাঁরা মুখে মাস্ক পড়ে আর স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে রথের চাকায় প্রণাম করে ফিরে যাচ্ছেন। মন্দির পর্যন্তও পৌঁছে যাচ্ছেন কেউ কেউ।