সংক্ষিপ্ত

  • অরূপ রায়ের উদ্যোগে মধ্য হাওড়ায় চালু সেফ হোম
  • কল্যান ঘোষের উদ্যোগে ডোমজুড়ে তৈরি সেফ হোম
  • ঘূর্ণিঝড় যশ চোখ রাঙাচ্ছে বাংলার দিকে
  • মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় দিতে দুই বিধায়কের উদ্যোগ 

মন্ত্রী অরূপ রায় উদ্যোগে মধ্য হাওড়ায় ও বিধায়ক কল্যান ঘোষের উদ্যোগে ডোমজুড়ে চালু হলো সেফ হোম ।

 ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় যশ চোখ রাঙাচ্ছে বাংলার দিকে। বিভিন্ন জায়গায় তার থেকে মোকাবিলা করার জন্য সরকারি তরফে নেওয়া হয়েছে সমস্ত রকম ব্যবস্থা। একই ভাবে মধ্য হাওড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়ের উদ্যোগে রামকৃষ্ণ শিক্ষালয় স্কুলে তৈরি করা হলো আড়াইশো জনের বেড সহ সেফ হোম। 

যশের বিপর্যয়ের আগে ও পরে কোনও মানুষ বিপদে পড়লে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হবে এখানে। রাজ্যে আরোপিত বিশেষ কোভিড বিধি মেনেই রাখা হবে তাদের বলে সূত্রের খবর। এই সেফ হোম থেকেই তাদের দেওয়া হবে পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মুখের মাস্ক। একইসঙ্গে বিপর্যয় না কেটে যাওয়া পর্যন্ত তাদেরকে এখানেই রাখার ব্যবস্থা করা হবে। এখান তাদের থাকা খাওয়ার সমস্ত বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। 

অপরদিকে ডোমজুড় বিধানসভা এলাকায় দুর্গানগর, অভয়নগর-১ ও অভয়নগর-২ এলাকায় চালু করা হলো সেফ হোম। মোট ১০০ জনকে এখানে রাখার ব্যবস্থা চালু করা হলো। যারা মাটির বাড়ি ও বিপদজনক বাড়িতে নিজেকে অসুরক্ষিত অবস্থায় আছেন তারা এখানে এসে থাকতে পারবেন। এখানে তাদের থাকা খাওয়ার সুবন্দোবস্ত করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। স্বভাবতই এই ধরণের উদ্যোগে খুশি সাধারণ মানুষ। 

এদিকে জানা গিয়েছে, যশ বর্তমানে বাংলা থেকে বেশ কিছুটা সরে গিয়ে গতিপথ বদলিয়েছে। যার জেরে সামান্য হলেও পরিবরিতন হল আবহাওয়ার পূর্বাভাস। যে ভয়ানক ঝড়ের আগাম সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে তা বর্তমানে কিছুটা হলেও কমল। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা ২৫ ও ২৬ তারিখে। তবে যশের দাপট সেভাবে প্রভাব ফেলবে না বাংলায়। বৃষ্টি হবে ২৫ তারিখ- পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া ও হুগলিতে।