সংক্ষিপ্ত

  • বলাগড়ের সবুজদ্বীপ পূর্ণাঙ্গ রূপে পর্যটনকেন্দ্র
  • সেই লক্ষ্যেই কাজ চলছে সবুজদ্বীপে
  • শুক্রবার পরিদর্শন করেন পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন
  • গঙ্গার চরে ১৮০ বিঘা জমি নিয়ে তৈরী সবুজদ্বীপ

উত্তম দত্ত- চারিদিকে সবুজ বনানী। হরেকরকম পাখীর কলতান। ঘন জঙ্গল। এক ঝটকায় যেন ডুয়ার্সকে মনে করিয়ে দেয়। এটাই সেই বিখ্যাত সবুজদ্বীপ।  খুব শীঘ্রই বলাগড়ের সবুজদ্বীপ পূর্ণাঙ্গ রূপে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গণ্য হবে।

গঙ্গার চরে ১৮০ বিঘা জমি নিয়ে তৈরী সবুজদ্বীপ দীর্ঘদিন ধরে পিকনিক স্পট হিসেবে বিখ্যাত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে এই টুকরো বদ্বীপকে ঘিরে একটি পর্যটনকেন্দ্র করবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। 

কিন্তু নানা টালবাহানায় মুখ্যমন্ত্রীর এই স্বপ্নের প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছিল না। ইন্দ্রনীল সেন পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রকল্প গতি পায়। কীরকম কাজ চলছে তা দেখতে শুক্রবার মন্ত্রী নিজে সবুজদ্বীপ পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া, হুগলি জেলা পরিষদের সভাদিপতি মেহবুব রহমান সহ জেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। 

দুপুর দেড়টার সময় বলাগড়ের সোমড়া এলাকায় আসেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। সেখান থেকে নৌকা করে জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে সবুজদ্বীপ যান। এদিন সবুজদ্বীপ আসার আগে তিনি শ্রীরামপুর মাহেশ জগন্নাথ দেবের মন্দিরে যান। উল্লেখ্য, ভক্তদের দীর্ঘদিনের দাবি মতো ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন ভারতবর্ষের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রা মাহেশকে পর্যটন মানচিত্র তুলে ধরা হবে। সেইমতো কাজ শুরু হয়ে গেছে দ্রুত গতিতে। 

এদিন পর্যটন মন্ত্রী গোটা মন্দির চত্ত্বর সরেজমিনে দেখে বৈঠক করেন মন্দির কমিটি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে। তিনি জানালেন, এখানকার মূল সংস্কারের কাজ প্রায় ১০০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজও দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করা হচ্ছে। তাই আগামী ১২ জুলাই রথযাত্রায় নবরূপে এই ঐতিহাসিক জগন্নাথ মন্দির ভক্তদের উদ্দেশ্যে খুলে দেওয়া হবে।