সংক্ষিপ্ত
গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে আসানসোল জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। গত সাত অক্টোবর টানা জেরার পর তাঁকে জেলবন্দি অবস্থাতেই গ্রেফতার করে ইডি। এরপরই সায়গলকে ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য দিল্লি নিয়ে যেতে চায় ইডি।
আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। সম্প্রতী গোরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সায়গলকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে চায় ইডি। সেই আবেদন মঞ্জুরও করে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। গোটা ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছে সায়গলের। কিছুতেই দিল্লি যেতে রাজি নন অনুব্রতর দেহরক্ষী। এই মর্মে কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন সায়গল হোসেনেন আইনজীবী। মঙ্গলবার এই মামলার জরুরী ভিত্তিতে শুনানির জন্যও আবেদন করা হয়েছে। উল্লেখ্য সেই আবেদন গ্রহণ করেছে দিল্লি হাই কোর্ট। বুধবার এই সংক্রান্ত শুনানি হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে আসানসোল জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। গত সাত অক্টোবর টানা জেরার পর তাঁকে জেলবন্দি অবস্থাতেই গ্রেফতার করে ইডি। এরপরই সায়গলকে ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য দিল্লি নিয়ে যেতে চায় ইডি। প্রথমে আসানসোল আদালতে এই আবেদন খরিজ হলেও পরে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে মঞ্জুর করা হয় আবেদন।
গোরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুব্রতর দেহরক্ষী সহগলকে দিল্লি নিয়ে যেতে চায় ইডি। এই প্রসঙ্গে আদালতকে ইডি জানিয়েছে, "মূল মামলাটি হয়েছিল দিল্লি থেকে। তদন্তকারী সংস্থার মূল দফতরও দিল্লিতে। কলকাতায় ইডির শাখা দফতর। তাই ইসিআইআর দায়ের করা হয়েছে কলকাতায়। কিন্তু যেহেতু মূল দফতর দিল্লিতে তাই অফিসারদের দিল্লি থেকে তদন্ত করতে আসতে হয়। তাই সহগলকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন।
কিন্তু ইডির এই যুক্তি খারিজ করে পালটা প্রশ্ন করে আদালত। বিচারপতির প্রশ্ন, "তদন্তকারী সংস্থা আমেরিকায় হতে পারে। কিন্তু মামলা তো এখানে নথিভুক্ত হয়েছে। তাহলে কলকাতার পিএমএলএ কোর্টে হাজির না করিয়ে দিল্লি কেন?"
আরও পড়ুন -
এবার ইডির জালে মানিক ভট্টাচার্য, রাতভর জেরার পর গ্রেফতার প্রাথমিকের প্রাক্তন সভাপতি
বালাসাহেব ঠাকরের প্রকৃত উত্তরাধিকারী কে? উত্তর না মেলায় দুই গোষ্ঠীকেই অন্তবর্তী চিহ্ন আর নাম কমিশনের
জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর আহত 'জুম', জানুন ভারতীয় সেনা বাহিনীর সারমের লড়াইয়ের কথা