সংক্ষিপ্ত
স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বুধবার থেকে আগামী ৭ দিনের জন্য স্কুলের পঠন পাঠন বন্ধ করা হয়েছে। এর সাথে দ্বাদশ শ্রেনীর একটি পরীক্ষা স্কুল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৯ ডিসেম্বর সেই পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
স্কুল (School) চলাকালীন করোনায় (Corona) আক্রান্ত হলেন শিক্ষিকা (Teacher)। এই ঘটনায় আতঙ্ক (Panic) ছড়িয়ে পড়েছে স্কুল জুড়ে অভিভাবকদের মধ্যে। তড়িঘড়ি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে দ্বাদশ শ্রেনীর পরীক্ষা (Exam of Class 12)।
স্কুল শিক্ষিকা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুলের ক্লাসও। ঘটনা বাঁকুড়া শহরের মিউনিসিপ্যালিটি হাই স্কুলের। স্কুল সুত্রে জানা গেছে এই স্কুলের একজন শিক্ষিকা করোনা পজিটিভ।
এর পরেই স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বুধবার থেকে আগামী ৭ দিনের জন্য স্কুলের পঠন পাঠন বন্ধ করা হয়েছে। এর সাথে দ্বাদশ শ্রেনীর একটি পরীক্ষা স্কুল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৯ ডিসেম্বর সেই পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দাবি, স্কুলের এক শিক্ষিকা করোনা আক্রান্ত হওয়ার জন্য স্কুলের ক্লাস ও পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই স্কুলের সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের জানানো হয়েছে সেই তথ্য। পাশাপাশি স্কুলের ক্লাসরুমগুলি স্যানিটাইজ করা হয়েছে বাঁকুড়া পুরসভার তরফে। স্কুলের সমস্ত শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে পুরসভার উদ্যোগে।
এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Health Ministry) জানিয়ে দিয়েছে কোভিড ১৯ (Covid 19) এর নতুন রূপ ওমিক্রন ডেল্টার (Delta) তুলনায় কমপক্ষে কমপক্ষে তিনগুণ বেশি সংক্রমণযোগ্য। মঙ্গলবার তেমনই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব। পাশাপাশি এই বিষয়ে রাজ্যগুলিকে চিঠি লিখে তিনি সতর্কও করেছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারকে সক্রিয় থাকতে হবে। সমস্ত প্রবণতা ও বৃদ্ধি বিশ্লেষণ করতে বলেছে। ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে কমপক্ষে তিনগুণ বেশি সংক্রমণ যোগ্য। তাই স্থানীয় ও জেলা স্তরে আরও বেশি দূরদর্শীতা, তথ্য বিশ্লেষণ গতিশীল সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। এটির কঠোর ও তাতক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রয়োজন বলেও রাজ্যসরকারগুলিকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।
চিঠিতে বলা হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থান যেখানে ডেল্টার সংক্রমণ বেশি সেখানে স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ে আরও বেশি করে তথ্য বিশ্লেষণ ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিকে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রয়োজন বলেও জানান হয়েছে।
রাজেশ ভূষণ আরও বলেছেন জেলা স্তরের কোভিড ১৯ সংক্রমণ রয়েছে, সেখানের জনসংখ্যা, ভৌগলিক বিস্তার, হাসপাতালের অবকাঠামোর দিকে সক্রিয় নজরের প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় তথ্য বিশ্লেষণ করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পাশাপাশি কন্টেনমেন্ট জোনের ওপর বিশেষ নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।