সংক্ষিপ্ত
- ফের স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু
- বহরমপুরে বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেলেন আরও একজন
- সপ্তাহ দুয়েক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন ওই যুবক
- একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়াতেই মৃত্যু, দাবি চিকিৎসকদের
ডেঙ্গুর দোসর স্ক্রাব টাইফাস। মারা গেলেন আরও একজন। সপ্তাহ দুয়েক ধরে জ্বর ও মাথাব্যাথার উপসর্গ নিয়ে বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। আতঙ্ক ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে।
মৃতের নাম তরুণ সরকার। বাড়ি, নবগ্রামের অমৃতকুণ্ড গ্রামে। সপ্তাহ দুয়েক হঠাৎ জ্বর আসে তরুণের। সঙ্গে প্রচন্ড মাথাব্যাথা। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, প্রথমদিকে তেমন সমস্য়া হয়নি। কিন্তু দিন কয়েক পর থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি শুরু করে তরুণের। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় গোকর্ণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওই যুবকের উপযুক্ত চিকিৎসা হয়নি বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত তরুণ সরকারকে ভর্তি করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ততদিনে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। ওই যুবককে যখন বহরমপুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়, তখন তাঁর শারীরিক অবস্থা রীতিমতো সংকটজনক। ওই নার্সিংহোমে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা চলছিল তরুণ সরকারের। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। শনিবার নার্সিংহোমেই মারা যান নবগ্রামের যুবক।
স্ক্রাব টাইফাসের প্রাথমিক লক্ষণ অনেকটা ডেঙ্গুর মতোই। কিন্তু এই রোগ মশাবাহিত নয়। একটি বিশেষ ধরণের পোকার কামড়ে স্ক্রাব টাইফাস ছড়ায়। জানা গিয়েছে, তরুণ সরকার যে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তা প্রথমে বুঝতেই পারেননি চিকিৎসকরা। তাঁরা ভেবেছিলেন ডেঙ্গু। ফলে চিকিৎসা শুরু হতে অনেক দেরি হয়ে যায়। আর তাতেই পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে ওঠে। শেষপর্যন্ত একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ায় তরুণকে আর বাঁচানো যায়নি।
দিন কয়েক আগে কলকাতার নার্সিংহোমে স্ক্রাব টাইফাস আক্রান্ত হয়ে মারা যান মহাদেব মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। তিনিও মুর্শিদাবাদেরই বাসিন্দা ছিলেন। জ্বরের উপসর্গ নিয়ে প্রথমে বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মহাদেব। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়।