সংক্ষিপ্ত

জিম এবং ফিটনেস সেন্টারগুলি খোলার দাবিতে হাওড়ায় মৌন মিছিল। কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যে জিম এবং ফিটনেস সেন্টারগুলি খোলার দাবিতে হাওড়ায় বিধি ভেঙে একেবারে একইসঙ্গে ২০০ জনের জমায়েত। 

 

জিম এবং ফিটনেস সেন্টারগুলি  খোলার দাবিতে হাওড়ায় মৌন মিছিল (Silent procession in Howrah)। অবিলম্বে জিম সেন্টার খোলার দাবিতে আন্দোলন হাওড়ায়। উল্লেখ্য়, কিছু দিন আগেই সেলুন এবং বিউটিপার্লারে রাত দশটা অবধি ৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর এবার তার পরেই,  কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যে জিম এবং ফিটনেস ( Gyms and fintness centars )সেন্টারগুলি খোলার দাবিতে হাওড়ায় বিধি ভেঙে একেবারে একইসঙ্গে ২০০ জনের জমায়েত। 

রাজ্যে ওমিক্রন সুনামির আকারে আছড়ে পড়তেই বন্ধ করা হয়েছিল শহরের জিম ফিটনেস সেন্টারগুলি। এবার সেগুলি খোলার দাবিতে পথে নামলেন জিম মালিক এবং শহরের ফিটনেস প্রেমিকরা। তাঁদের অভিযোগ, সরকার যদি ৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে হোটেল, রেস্তোরাঁ, স্যালন, পার্লার খোলা থাকতে পারে, তবে জিম সেন্টারগুলিকেও ভিন্ন সুর কেন।প্রায় ২০০ জন বিক্ষোভকারী এদিন হাওড়ার বেলেপোল এলাকায় জমায়েত হন। দীর্ঘ তিন কিলোমিটার মৌন মিছিল করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি দীর্ঘ দু বছর ধরে কোভিডের জন্য বন্ধ ছিল তাঁদের ব্যবসা। তাঁরা এর জেরে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তাই কোভিড বিধি মেনে জিমসেন্টার গুলিকে খোলার অনুমতি দিক সরকার।

এপ্রসঙ্গে একটি ফিটনেস সেন্টারের মালিক নীলাঞ্জন দে বলেন, গত প্রায় ২ বছর, তারা সেভাবে ব্যবসা করতে পারছেন না। যেখানে শহরের হোটেল রেস্তরাঁ পানশালা গুলি খোলা রয়েছে সেখানে ফিটনেস সেন্টার খুলে রাখতে সমস্যা কোথায়। তাঁর কথায়, 'আমরাও ৫০ শতাংশ মানুষ নিয়ে সকল কোভিড বিধি মেনে আমাদের ফিটনেস সেন্টারগুলি খুলতে চাই, সরকার আমাদের কথা বিবেচনা করুক। তিনি আরও বলেন, অন্যান্য রাজ্যগুলো জিমসেন্টার খুলে দিয়েছে। এই রাজ্যে এখনো সরকার তা করে নি। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন আগে এই রাজ্য থেকে বহু এথিয়েলিট নিজের পয়সা খরচ করে এক বছর ধরে প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু তারপরেই সব বন্ধ হয়ে গেলে তার সারা বছরের পরিশ্রম বিফলে চলে যায়”। ওপর এক জিমের মালিক নন্দিতা দাস, “ জিম সেন্টারগুলি প্রবলভাবে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, সেন্টার যারা চালাচ্ছেন তাঁদের পেট চালানো রীতিমত কঠিন হয়ে পড়ছে।

তিনি আরও বলেন, 'প্রতিটি সেন্টারের নির্দিষ্ট গ্রাহক রয়েছেন, সেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষের জমায়েত কোন ভাবেই সম্ভব নয়, তাই দূরত্ব বিধি মেনে চলা অথবা অন্যান্য কোভিড প্রোটোকল মেনে চলা তাদের পক্ষে অনেক সহজ”। এক ই সঙ্গে তিনি জানান, 'কেবল জিম সেন্টারের মালিকরা নয়, একই ভাবে সমস্যায় পড়ছেন, জিম করতে আসা মানুষজনও। সরকারের এটা বোঝা দরকার, কোভিড কালে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা খুবই প্রয়োজন”। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। আমরা যেখানে নারীদের ক্ষমতায়ানের কথা বলি। মেয়েরা বাড়িতে যে পরিমান কাজ করে তাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থ্যতার জন্য ব্যায়াম করা অতি আবশ্যক। তাই রাজ্য সরকার এই ক্ষেত্রতে সম্পূর্ণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনা করুক। তারা মৌন মিছিল করছেন তারা সহিংসতায় বিশ্বাসী নন বলেই তিনি দাবি করেন। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই সরকারের তরফে এক নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়, যেখানে বলা হয়, ৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত খুলে রাখা যাবে শহরের স্যালন পার্লারগুলি। এরপর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে জিম সেন্টারগুলো খোলার দাবিতে আন্দোলনে নামে জিমের মালিক ও জিম প্রেমিকেরা।