সংক্ষিপ্ত

আনিসের মৃত্যুর পর উত্তাল সারা বাংলা। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আনিস মৃত্যু কাণ্ডে সিট গঠন হয়েছে। পরিবারকে আস্থা রাখতে বললেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।

 

আনিসের মৃত্যুর পর উত্তাল সারা বাংলা। এদিকে সোমবার অর্থাৎ এদিন দুপুর তিনটেয় নবান্নতে মুখ্যমন্ত্রীর (CM) সঙ্গে দেখা করতে যাবেন আনিসের পরিজনেরা। ছাত্রনেতা আনিস খান  খুন হওয়ার পর তাঁর বাবা সালেম খানের কাছে রাজ্য সরকারের চাকরির প্রস্তাব আসে। যদিও সালেম খান স্পষ্ট জানিয়েছেন, 'আগে ছেলের খুনের বিচার চাই। তারপরে চাকরির কথা ভাবা যাবে।' যদিও ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আনিস মৃত্যু কাণ্ডে সিট গঠন হয়েছে। পরিবারকে আস্থা রাখতে বললেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (CM Mamata Banerjee)।

এদিন  সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, 'আনিসের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।আনিস আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। আমি এই ধরনের ঘটনা পছন্দ করিনা পরিবারকে বলছি আমার উপর বিশ্বাস রাখুন। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে সিট।' প্রসঙ্গত, মৃত যুবকের বাবা সালাম খানের অভিযোগ থেকে জানা গিয়েছে, পুলিশের পোশাক পরিহিত ৪ জন লোক বাড়ির ভেতরে ঢুকে আনিসকে খুন করে। পরিবার সূত্রে খবর আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া আনিস আগাগোড়া কলকাতাতেই থাকতেন। তিন দিন আগে তিনি বাড়িতে আসেন। শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা পাড়ার একটি জলসাতে গিয়েছিলেন। এরপরে গভীর রাতে বাড়ি ফেরেন তিনি। তার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ চার জন লোক রাত ১টা নাগাদ তাঁদের বাড়িতে যান। ওই চারজনের মধ্যে একজন পুলিশের পোশাক পরা থাকলেও বাকিদের শরীরে জলপাই রঙের পোশাক পরা ছিল। আমতা থানার পুলিশ পরিচয় দিয়ে তারা তিনতলা থেকে আনিসকে ফেলে দেয়। এরপরেই মৃত্যু হয় আনিসের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে রয়েছে রাজ্য-রাজনীতি।

আরও পড়ুন, রাজ্য বিধানসভায় সাধন পাণ্ডেকে শেষশ্রদ্ধা মমতার, আজই নিমতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য মন্ত্রীর

অপরদিকে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জগদীপ ধনখড়ের ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন,  ফাইলে সই করতে দেরি করছেন রাজ্যপাল। অকারণে রাজ্যপাল দেরি করছেন। আমার সই করা রাজ্যপাল ফেরত পাঠিয়েছেন। রাজ্য সরকারের সব কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এরপেরই দেউচা পাচামি প্রসঙ্গে মমতা বলেন,' দেউচা পাচামি বাংলার মুখ হবে। মনে রাখবেন জবরদস্তি করে আমি কোনও কাজ করি না। জোর করে কোনও জমি নেওয়া হচ্ছে না। গরিবের ভাত মেরে আমরা কিছু করবো না। কিছু খাদান মালিক ব্যক্তিস্বার্থে বাধা দিচ্ছে। তাঁদের বেআইনি খাদান বন্ধ হওয়ায় তাঁরা বিভ্রান্ত করছেন। আমরা জমির বদলে জমি দিচ্ছি বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি। খাদান মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য। জমিদাতাদের পরিবারের এক সদস্য কে চাকরি। জমির প্রকৃত দামের থেকে দ্বিগুন দাম দিচ্ছে রাজ্য সরকার।যার যেমন যোগ্যতা তাকে তেমন চাকরি। হোম গার্ড, কনস্টেবল পদে নিয়োগ করা হবে। মহিলাদের জন্য বিশেষ সামাজিক প্রকল্প ।চাকরির ক্ষেত্রে স্থানীয়রাই অগ্রাধিকার পাবেন।'