সংক্ষিপ্ত
বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে প্রথম ঘূর্ণিঝড় এলাকা তৈরি হয়। তারপর তা গভীর নিম্মচাপে পরিণত হয়। ধীরে ধীরে শক্তি বাড়ায়। এই অবস্থায় রবিবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় । তারপরই এটি উত্তর - উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করে।
দ্রুত গতিতে স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিতরাং। আহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শেষ ৬ ঘণ্টায় সিতরাং-এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৮ কিলোমিটার। মঙ্গলবার খুব ভোরে বাংলাদেশের বরিশালে ত্রিকোনা আইল্যান্ড ও সন্ধ্দীপ আইল্যান্ডের মাঝে ল্যান্ডফল করবে। তারপরই শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে সিতরাং। হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছেন মাঝরাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা উপকূল পার করবে ঘূর্ণিঝড়। সেই কারণে উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় সিতরাং-এর অবস্থান ছিল সাগরদ্বীপ থেকে মাত্র ২৩০ কিলোমিটার দূরে। আর বরিশাল থেকে মাত্র ২৫০ কিলোমিটার দূরে। বঙ্গোপসাগরের পূর্ব-দক্ষিণপূর্ব এলাকায় এটি অবস্থান করছিল।
বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে প্রথম ঘূর্ণিঝড় এলাকা তৈরি হয়। তারপর তা গভীর নিম্মচাপে পরিণত হয়। ধীরে ধীরে শক্তি বাড়ায়। এই অবস্থায় রবিবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় । তারপরই এটি উত্তর - উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করে।
ঘূর্ণিঝড় সিতরাং-এর প্রভাব এই রাজ্যে তেমনভাবে না পড়লেও উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস আনুযায়ী, কালীপুজোর দিন রাতে অর্থাৎ সোমবার রাতে ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করবে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ঝড়ের প্রভাব সবথেকে বেশি পড়বে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, ও দুই মেদিনীপুরে ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার। কখনও কখনও তা ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারও হতে পারে। সোমবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় সিতরাং নিয়ে বৈঠক করেছেন আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন কালীপুজোর পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থাকবে এই রাজ্যে। মঙ্গলবার সকালে হাওয়ার গতিবেগ বেড়ে হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝড় বা ঝোড়ো হাওয়ার দাপট কিছুটা কমবে।
হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঝড়ের তীব্রতা দুই ২৪ পরগনাতেই বেশি থাকলে। পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী প্রভাব পড়বে ঝড়ের। তবে কলকাতার ঝড়ের তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না বালেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
সিতরাং মোকাবিলার জন্য সবধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন, ঘুর্ণিঝড়ড সিতরাং বাংলাদেশে আছড়ে পড়বে এই খবর পাওয়ার পরই তৎপর প্রধানন্ত্রী। সর্বস্তরের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। পুরো পরিস্থিতির দিকে তিনি নজর রাখছেন। জীবন ও সম্পদ রক্ষার সর্বাধিক প্রস্তুতি গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আওয়ামিলিগের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গেও কথা বলছেন। প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও সাহায্য যাতে দুর্গতা পায় তারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দলের নেতা ও কর্মীদের সবথেকে খারাপ পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা একটি কন্ট্রোলরুম খুলেছেন। যেখান থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দেওয়া হবে।
সাইক্লোন সিতরাং সতর্কতা বাংলাদেশের ১৩টি জেলায়,বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ত্রাণ শিবিরে যাচ্ছেন দুর্গতরা