সংক্ষিপ্ত

বাতিল করা হল  ৬ শিক্ষকের চাকরি। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ ৬ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল। অভিযোগ, বেশি নম্বর পাওয়া প্রার্থীকে বঞ্চিত করে সেই ছয় জন শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছিল। 

শিক্ষক নিয়োগের (Job) সমস্যা আজও অব্যাহত। বহু ছাত্রছাত্রী আজও স্বপ্ন দেখেন শিক্ষকতা (Teacher) করার। কিন্তু তাঁদের সেই স্বপ্ন অধোরাই রয়ে গিয়েছে। তার মাঝে চলেছে কত না বিক্ষোভ, মিছিল....এবার বাতিল করা হল  ৬ শিক্ষকের চাকরি। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangully) সিঙ্গল বেঞ্চ মুশির্দাবাদের ৬ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল (6 Teachers Job canceled)। অভিযোগ, বেশি নম্বর পাওয়া প্রার্থীকে বঞ্চিত করে সেই ছয় জন শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, সম্প্রতি গ্রুপ ডি (Group D) এবং গ্রুপ সি (Group C) পদে একাধিক নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। সেই পথ অনুসরণ করেই  সোমবার এই ছয় জন শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিলের বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট বা উচ্চ আদালত (Kolkata High Court)। 

স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট বা এসএলএসটিতে সেই ছয় জন শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই বেআইনি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের যা খরচ হয়েছে তা পুনরুদ্ধার করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । অর্থাৎ ওই ছয় জন শিক্ষককে এতদিন পর্যন্ত বেতন বাবদ যে অর্থ প্রদান করা হয়েছে তা পুনরুদ্ধার করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট বা উচ্চ আদালত। সুত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ জেলায় বিভিন্ন স্কুলে নবম -দশম শ্রেণির অঙ্কের শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেয়েছিলেন ওই ৬ জন শিক্ষক। পরে তাঁদের সেই নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে জবাব তলব করেছিল আদালত। কমিশনের তরফে জানানো হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ভুল হয়েছিল। এরপরই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। সাত দিনের মধ্যে মুর্শিদাবাদের ডিআই-কে ওই নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট বা উচ্চ আদালত।

আরও পড়ুন-ছুটির পরে স্কুলের ভেতরে পিকনিক-মদ্যপান শিক্ষকদের, অবিভাবকদের প্রতিবাদে সরগরম কেশপুর

আরও পড়ুন-'নিয়োগ করা না হলে, দেওয়া হোক স্বেচ্ছা মৃত্যুর অনুমতি', দাবি চাকরি প্রার্থীদের

আরও পড়ুন-স্টুডেন্টদের কেকে স্বামীর বীর্য মিশিয়ে দিল স্কুল শিক্ষিকা, কেঁচো খুঁড়তে বের হল কেউটে

যদিও এই নির্দেশকে চ্যালঞ্জ করে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল এসএসসি কর্তৃপক্ষ, মধ্যশিক্ষাপর্ষদ এবং রাজ্য সরকার। ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য, বহুদিন ধরেই গ্রুপ সি-র নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনার জল গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। ১৫ ফেব্রুয়ারি সেই মামলায় ৩৫০ জনের নিয়োগ বাতিল করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। পাশাপাশি, এতদিনে যে অর্থ তাঁদের বেতন বাবদ খরচ করা হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই নির্দেশ কার্যকর করা হয় গ্রুপ ডি-এর কিছু কর্মীর ক্ষেত্রেও।