সংক্ষিপ্ত

নাম না করেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে নানা সময় নান তির ছুঁড়েছেন শ্রীরামপুরের এই সাংসদ। অবশ্য দলের মধ্যে দ্বন্দ্বের আগুনের ছোট শিখা দাবানলে পরিণত হওয়ার আগেই হাল ধরে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

ফের আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Srirampur MP Kalyan Bandyopadhyay)। চলতি বছরের শুরুতেই তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয়েছে এক অন্যরকম বচসা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা যাকে নাম দিয়েছে “প্রজন্মের ফাঁক” হিসাবে। প্রায় নাম না করেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে নানা সময় নান তির ছুঁড়েছেন শ্রীরামপুরের এই সাংসদ। অবশ্য দলের মধ্যে দ্বন্দ্বের আগুনের ছোট শিখা দাবানলে পরিণত হওয়ার আগেই হাল ধরে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Chief Minister Mamata Banerjee)। প্রবীণদের সঙ্গে নবীনদের গুরুত্বকেও স্পষ্ট করে দেন তিনি। 
তবে এবার দলের অন্তর্গত ব্যাক্তির দিকে আঙুল না তুললেও মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক কালের কাছের মানুষের দিকে ফের অভিযোগের আঙুল তুলেছেন শ্রীরামপুরের এই সাংসদ। এদিন আবার প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই প্যাককে আক্রমণ করলেন তিনি। রবিবার তিনি বলেছিলেন, “প্রার্থীদের জেতাতে ময়দানে আই প্যাককে দেখা যাচ্ছে না, আমাকেই খাটতে হচ্ছে।” এরপর সোমবার বললেন, “আই প্যাকের জন্যই এত নির্দল হয়েছে।” 

সোমবার কল্যাণ বলেন, ‘‘আপাত দৃষ্টিতে বর্তমানে দুটো কারণ রয়েছে দলের বিরুদ্ধে এত নির্দল হয়ে দাঁড়ানোর। গত জুন-জুলাই মাসে যখন বিভিন্ন মানুষকে প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য করা হয়েছিল, তখন আমাদের সঙ্গে কেউ কোনও রকমের আলোচনাই করলেন না। সাংসদ হয়েছি বহুদিন, বছরের পর বছর ধরে কাজ করছি, তবুও কেউ কোনও কথাই বললেন না। আই প্যাকের রিপোর্ট অনুযায়ী কলকাতার কোনও নেতার সুপারিশে সব হয়ে গেল! আজকে প্রায় ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে সেই সব সদস্যই নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন।’’  

আরও পড়ুন- আনিস মৃত্যুতে বড় পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের, কবে শুরু হচ্ছে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি

আরও পড়ুন- নয়া শিক্ষানীতির বাস্তবায়নে ব্যাপক ভাবে সাহায্য করবে এবারের বাজেট, দাবি মোদীর

এদিন কল্যাণ আরও বলেন, “সেই সময় দিদি, সুব্রত বক্সী এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদি দেখতেন সদস্য কারা হচ্ছেন, তা হলে আজকে দলের এই রকম পরিণতি হত না।” আই প্যাকের সদস্যেরা যেখানে যেখানে গিয়ে সার্ভে করেছেন সেখানে আট জনকে দশ জনকে বলে দিয়েছেন, আপনারাই প্রার্থী হবেন। আপনারা ডিটেলস দিন। এ এক অদ্ভুত ব্যাপার! আই প্যাকের ঠেলায় আমাদের রীতিমতো প্রাণ বেরিয়ে যাচ্ছে।” কল্যাণের সংযোজন, ‘‘রাজনৈতিক দল নিজের মত অনুযায়ী চলবে, কনট্র্যাক্টর রাখলে রাজনৈতিক দল কোনও মতেই চলে না। আর এখানে আই প্যাকের ছেলেটাকে খুঁজছি, পেলে একবার সুন্দর করে পালিশ করে দিতাম।’’
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতা ভাস্কর ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “যে আই প্যাক বিধানসভা নির্বাচনে জিতিয়ে আনল, তাঁকে নিয়ে এখন এত কথা হচ্ছে? যদি সাংসদরা বোঝেন যে, কনট্র্যাক্টর দল চালাচ্ছেন তা হলে তা এতদিন বাদ বলছেন কেন?”

আরও পড়ুন- সাহস থাকলে সিবিআই তদন্ত টাক রাজ্য, আনিস কাণ্ডে মমতাকে তোপ দিলীপের

আরও পড়ুন- কতটা শান্তিপূর্ণ ভোট হল উত্তরপ্রদেশে, তৃতীয় দফার নির্বাচন শেষে পাল্লা ভারী কার