সংক্ষিপ্ত

২০১৬ সালের এক বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষার জন্য এসএসসির নিয়ম মেনে একদল শিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেন। তাদের মধ্যে বেশ কিছু যুবক যুবতী ওই পরীক্ষায় পাশ করে ২০১৯ সালে ইন্টারভিয়ের জন্য ডাক পান। 

টানা কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও টনক নড়েনি রাজ্য সরকার (West Bengal Government) থেকে শুরু করে শিক্ষা দপ্তরের (Education Department) আধিকারিক থেকে মন্ত্রীর। তাই এবার চূড়ান্ত পথ বেছে স্বেচ্ছামৃত্যুর (Euthanasia) আবেদনের মঞ্জুরের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের (SSC job seeker) 'এসএসসি যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চ'। 'হয় চাকরি নয়' স্বেচ্ছামৃত্যু' এই দাবিতে অনড় তারা। এমনকি, তারা জানাচ্ছেন সম্প্রতি জেলা শাসকের কাছে এই বিষয়ে স্মারক লিপিও দেওয়া হয়েছে আগেই, নিয়ম মাফিক ভাবে তাদের চাকরি দেওয়া হোক। 

জানা যায়, ২০১৬ সালের এক বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষার জন্য এসএসসির নিয়ম মেনে একদল শিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেন। তাদের মধ্যে বেশ কিছু যুবক যুবতী ওই পরীক্ষায় পাশ করে ২০১৯ সালে ইন্টারভিয়ের জন্য ডাক পান। পরবর্তীতে গোটা রাজ্যে ওই দুটি বিষয়ের জন্য প্রায় ১৬০০ জন চাকরি পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে অপেক্ষমান তালিকায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেন। তার মধ্যে জেলার নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা প্রায় ২০০ জন।  ইতিমধ্যে তাদের একটি প্যানেল লিস্টও তৈরী করা হয়।

কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে না পেরে আন্দোলনের পথে নেমেছে। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, একাধিকবার সম্প্রতি শিক্ষা দপ্তর, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেও তাদের নায্য দাবি পূরন না হওয়ায় , এখন আর কোন পথ না থাকায় একটাই দাবি, তাদের স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন মঞ্চুর করা হোক। 

এই ব্যাপারে সাগীর শেখ, পীযুষ কুমার মণ্ডল, নাসিমা খাতুন বলছেন , “ আমরা পড়াশুনা করে রীতিমত চাকরির পরীক্ষা দিয়ে যোগ্য বিবেচিত হয়েছি এবং চাকরি পাবার জন্য তালিকা ভুক্ত হয়েছি, তার পরেও কেন আমাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না বুঝতে পারছি না। অথচ একই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে নবম ও দশম শ্রেণীর জন্য যারা তালিকা ভুক্ত হয়েছিল তারা কিন্তু নিয়োগ পেয়ে গেলেন।”

এদিকে আবেদন নিবেদন করে নিয়োগের কোন সম্ভাবনা না দেখে সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন করা হয়েছে। সংগঠনের জেলা নেতা সলমান শেখ বলেন,“ইতিমধ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে বিভিন্ন জেলার জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত তার কোনও রকম উত্তর পাওয়া যায়নি । ফলে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনের মঞ্জুরি ছাড়া আমাদের কাছে আর কোন পথ খোলা নেই"।