সংক্ষিপ্ত
গণপ্রহারে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়িতে এবার বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। এদিন তিনি মৃত পরিযায়ী শ্রমিক প্রতাপ মন্ডলের বাবা-মার সঙ্গে দেখা করেন তাদের সমস্ত অভিযোগ শোনেন।
মালদহের (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরের নৃশংসভাবে গণপ্রহারে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের (migrant worker) বাড়িতে এবার বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু (State BJP general secretary Sayantan Basu)। এদিন তিনি মৃত পরিযায়ী শ্রমিক প্রতাপ মন্ডলের বাবা-মার সঙ্গে দেখা করেন তাদের সমস্ত অভিযোগ শোনেন। এদিন পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসে মমতার রাজ্যে তালিবানি শাসন চলছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।
এদিন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু আসার খবর পেয়ে প্রথম থেকেই সজাগ ছিল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াবার জন্য হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে মালিওর পর্যন্ত কড়া নিরাপত্তা বলয়এ মুড়ে ফেলা হয়েছিল। এদিন সায়ন্তন বসু সঙ্গে ওই এলাকায় যান জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল, আইটি সেল হেড নীলাঞ্জন দাস, সহ আরো অনেক নেতৃত্বরা।
এদিন মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের বাবা-মার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সায়ন্তন বসু রাজ্য প্রশাসন এবং রাজ্যের আইন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন মমতার রাজ্যে বর্তমানে তালিবানি শাসন চলছে। না হলে এইভাবে কাউকে নৃশংসভাবে মেরে ফেলা যায় না। এরা দীর্ঘদিন থেকে বিজেপির সঙ্গে জড়িত। তাই এলাকার তৃণমূলের গুন্ডাদের নজরে বরাবরই ছিল। আমরা রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে এদের পাশে আমরা সব সময় আছি। প্রয়োজনে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে । কিন্তু ঘটনার এত দিন কেটে গেল কেন একজন ছাড়া আর কাউকে গ্রেপ্তার করা গেল না এই নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সায়ন্তন বসু।
যদিও পাল্টা সুর চড়িয়েছে জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান। তিনি বলেন বিজেপি এখন মৃত্যুর মধ্যেও রাজনীতি করছে।