সংক্ষিপ্ত
অজয় নদের জলে প্লাবিত হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ভেদিয়া অঞ্চল। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই অজয়ের জল বাড়তে শুরু করে।
বন্যা পরিস্থিতির (Flood Situation) জন্য কেন্দ্রকেই (Modi Government) দায়ী করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী। শুক্রবার সুব্রত মুখোপাধ্যায় 9State Panchayat Minister Subrata Mukherjee) বর্ধমানে সৃষ্টিশ্রী মেলার উদ্বোধন করতে এসে বলেন রাজ্যকে (West Bengal) ঠিকমত না জানিয়েই জল ছাড়ায় এই বিপত্তি ঘটেছে। একধাপ এগিয়ে তিনি বলেন, মানুষের কারণে এমন হলে তাকে ম্যানমেড বন্যাই (Manmade Flood) বলা যায়। তাঁর দাবি না জানিয়ে জল ছাড়া আর টানা বর্ষণে (Heavy Rain) বেশ কিছু এলাকায় জল ঢুকেছে। এতে তাঁরা উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন --পিছন থেকে এক লাফে গলা কামড়ে ধরল চিতা, বাড়ির সামনে গুরুতর জখম বৃদ্ধা, দেখুন ভিডিও
এদিন তিনি বলেন যাতে শস্যের বড় রকমের ক্ষতি না হয় সে জন্য উদ্বেগ আরো বেশি। মানুষকে সচেতন না করারা সুযোগ দিয়ে অনেক পরিমাণে জল ছাড়ার নামই ম্যানমেড বন্যা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি বাঁকুড়ায় ত্রাণ নিয়ে যাবেন।
অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ভেদিয়ায় প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে যান জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা। এদিন আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডারও এলাকায় যান। তারা যে এলাকায় বাঁধ ভেঙেছে সেখানে এলাকার মানুষের সুবিধা অসুবিধা জেনে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেন। অজয় নদের জলে প্লাবিত হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ভেদিয়া অঞ্চল। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই অজয়ের জল বাড়তে শুরু করে। রাতে ভেদিয়ার সাঁতলা গ্রামের অজয় নদের বাঁধে ফাটল বিশাল আকার ধারণ করে। বাঁধ ভেঙে অজয়ের জল সাঁতলা বাগবাটি সহ চার পাঁচটি গ্রামকে প্লাবিত করেছে।
আরও পড়ুন -- অক্টোবর থেকে অচল হয়ে যাবে এই ব্যাঙ্কগুলির চেকবই, জানুন বিস্তারিত
যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করছে প্রশাসন। বিঘের পর বিঘে ধানের জমি জলের তলায়।ফলে চরম বিপদ শঙ্কায় এলাকার বাসিন্দারা। এদিন জেলাশাসক এলাকা পরিদর্শন করার পর জানান, পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সবাইকে সরিয়ে উঁচু জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপাতত ভয়ের কোনো কারণ নেই। কারণ জল কমতে শুরু করেছে।
তিনি আরো জানান, জেলার আউশগ্রাম মঙ্গলকোট কেতুগ্রামের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। জেলায় প্রায় চার হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। রিলিফ সেন্টারে খাবার সহ সব ব্যবস্থা রয়েছে। জল নামলে বাঁধ মেরামতির কাজে হাত দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- পেনশন তোলা থেকে এটিএম কার্ডে পেমেন্ট, অক্টোবর থেকে বদলে যাচ্ছে এই সব নিয়ম
বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার জানান, প্রায় ৫০টি বাড়ি ভেঙে গেছে। জল নামলে আরো বাড়ি ভাঙতে পারে। প্রচুর ফসলের জমি জলের তলায়। তিনি আরও জানান, আর নতুন করে ভাঙনের আশঙ্কা নেই। জল কমতে শুরু করেছে।