সংক্ষিপ্ত
অমর চক্রবর্তী একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ মানুষ। গাছ তিনি খুবই পছন্দ করেন। তাঁর বাড়িতে বেশ কিছু মূল্যবান গাছ রয়েছে। যদিও অনেকগুলিই বিদেশি পাতাবাহার। এছাড়া মাছ ও পাখিও রয়েছে। বছরখানেক ধরে তাঁর বাড়ি থেকে বিদেশি মূল্যবান গাছ চুরি করে চম্পট দিচ্ছে চোরেরা।
পৃথিবীতে কতরকম চুরির কথা শোনা যায়। বই চুরি, শাড়ি চুরি, গয়না চুরি, ফুল চুরি সবই শোনা যায়। আসলে যে জিনিস কাজে লাগে সাধারণত সেগুলিই চোরের টার্গেট থাকে। কিন্তু, তা বলে বিদেশি বাহারি গাছ চুরি? হ্যাঁ। এমনই ঘটেছে বর্ধমান শহরের নতুনপল্লিতে। গাছপ্রেমী অমর চক্রবর্তী রীতিমতো থানায় অভিযোগ করে চুরির বিহিত করতে চেয়েছেন। আর গাছ চোরের কীর্তি ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে।
অমর চক্রবর্তী একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ মানুষ। গাছ তিনি খুবই পছন্দ করেন। তাঁর বাড়িতে বেশ কিছু মূল্যবান গাছ রয়েছে। যদিও অনেকগুলিই বিদেশি পাতাবাহার। এছাড়া মাছ ও পাখিও রয়েছে। বছরখানেক ধরে তাঁর বাড়ি থেকে বিদেশি মূল্যবান গাছ চুরি করে চম্পট দিচ্ছে চোরেরা। এই অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের আট নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পল্লি এলাকায়।
আরও পড়ুন- টানা বৃষ্টিতে এখনও জলমগ্ন ঘরবাড়ি, চরম ভোগান্তি বাসন্তীর বাসিন্দাদের
আরও পড়ুন- 'গণতন্ত্রের কথা বলে এখন নির্বাচন করাতেই দেরি', কমিশনকে নিয়ে বিস্ফোরক পার্থ
এ প্রসঙ্গে অমর চক্রবর্তী বলেন, "আমি একজন গাছ প্রেমী। আমার বাড়িতে অনেক মূল্যবান গাছ লাগানো রয়েছে। প্রায়শই বাড়ি থেকে টবে লাগানো গাছ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চোর। আর এটা ঘটছে অনেকদিন ধরেই।" তিনি আরো বলেন, "কীভাবে চুরি হচ্ছে তা জানার জন্য আমি বাড়ির চারিদিকে সিসিটিভি লাগাই। সেখানেই চোরেদের কীর্তিকলাপ দেখতে পাই।" চুরির পরের দিন তিনি সিসিটিভিতে দেখেন মুখ ঢাকা দিয়ে দুই ব্যক্তি রাতের অন্ধকারে গাছচুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।এরপরই বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অমর চক্রবর্তী। বারবার চুরির বিহিত চাইতেই পুলিশের কাছে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন বর্ধমান থানার পুলিশ। কয়েক মাস আগেই বর্ধমানের নামী মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলে একটি শিরিষ গাছের মৃত্যু 'রহস্যজনক' ধরে নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাথমিকের প্রধানশিক্ষক। অভিযোগের ভিত্তিতে সেই ঘটনার তদন্তে নেমেছিল পুলিশ। সেই জল অনেক দূর গড়িয়েছিল। তবে এবার গাছ চুরির কিনারা হয় কিনা সেটাই এখন দেখার। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত 'গাছ মাস্টার' অরূপ চৌধুরী বলেন, "গাছ লাগানো পূণ্যের কাজ। তবে চুরি করা নয়। ওই ভদ্রলোক গাছ ভালোবাসেন। কোভিড সংক্রমণের জেরে গাছ নিয়ে আগ্রহ আরও বাড়ছে।"