সংক্ষিপ্ত
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ঘর-বাড়ি ও চাষের জমি। অনেক জায়গায় বৃষ্টির দাপটে কাঁচাবাড়িও ভেঙে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত কয়েকটি জায়গায় ধানের জমিতে বুক সমান জল জমে রয়েছে।
কয়েকদিন ধরেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। তার ফলে জলমগ্ন বেশ কিছু এলাকা। সকাল থেকেই কালো হয়ে রয়েছে আকাশ। কোনও কোনও সময় রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু, তার পর মুহূর্তেই ফের ঝমঝমিয়ে নামছে বৃষ্টি। আর এই নাগাড়ে বৃষ্টির ফলে জল নামার সময়ই পাচ্ছে না। সেই কারণেই এখনও পর্যন্ত জলমগ্ন হয়ে রয়েছে একাধিক গ্রাম। এই তালিকা থেকে বাদ যায়নি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীও।
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ঘর-বাড়ি ও চাষের জমি। অনেক জায়গায় বৃষ্টির দাপটে কাঁচাবাড়িও ভেঙে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত কয়েকটি জায়গায় ধানের জমিতে বুক সমান জল জমে রয়েছে। সেখানে জল এতটাই বেশি যে চাষের জমির পরিবর্তে সেটিকে নদী ভেবে ভুল করবেন অনেকেই। আবার কারও বাড়ির উঠোনেও ভর্তি রয়েছে জল। ডুবে গিয়েছে তুলসী মঞ্চ। এখনও পর্যন্ত অনেকের ঘর থেকে জল বের হতে পারেনি। ফলে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
"
এক সপ্তাহের বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত জল সরেনি এলাকা থেকে। নদী তীরবর্তী এলাকা হলেও এখনও বাসন্তীর বেশিরভাগ এলাকাতেই হাঁটুসমান জল তো কোথাও কোমর সমান জল ঠেলে চলাচল করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছে শিশুরা। ঘরের মেঝেতে জল ঢুকে যাওয়ায় খাটের উপরেই দিন কাটছে তাদের। খাবার জলেরও তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে এলাকায়। হাঁটু সমান জল পেরিয়ে তবে খাবার জল নিয়ে আসছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন- 'গণতন্ত্রের কথা বলে এখন নির্বাচন করাতেই দেরি', কমিশনকে নিয়ে বিস্ফোরক পার্থ
আরও পড়ুন- প্রকাশিত জয়েন্টের ফল, প্রথম রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের পাঞ্চজন্য দে
এই পরিস্থিতিতেও মাঝে মধ্যেই বৃষ্টি হচ্ছে। তার ফলে জল কবে নামবে তা বুঝতে পারছেন না বাসিন্দারা। এর মধ্যে যদি আবার ভারী বৃষ্টি হয় তাহলে জল আরও বাড়বে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন তাঁরা। দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটছে দুর্গত এলাকার মানুষের। অন্যদিকে চাষের জমিতে জল থইথই করছে, এর ফলে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে ধান জমির। ভারী বৃষ্টির ফলে মাছ চাষেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কারণ ভেসে গিয়েছে একাধিক পুকুর। এদিকে অনেকেই পুকুরে মাছের চারা ছেড়েছিলেন। কিন্তু, পুকুর ভেসে যাওয়ার ফলে মাছও অন্যত্র চলে গিয়েছে। খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বাসন্তীর বাসিন্দারা।