সংক্ষিপ্ত

বাগমুন্ডি গার্লস হাই-স্কুলের একঝাঁক ছাত্রী স্কুলের শিক্ষিকার উপর নিয়মিত ক্লাস না নেওয়ার অভিযোগ আনল। তাদের বক্তব্য স্কুলে নিয়মিত ক্লাস হয় না প্রায় দু'বছর পর স্কুল খুলেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত ঠিকঠাক ক্লাস হচ্ছে না।

করোনা ফাঁড়া কাটিয়ে প্রায় দেড় বছর পর ফের খুলেছে স্কুল-কলেজের দরজা। কোভিড প্রোটোকল মেনে কোনোরকম চলছে ক্লাস। কিন্তু পুরনো ছন্দে ফিরতে বেগ পেতে হচ্ছে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। এমতাবস্থায় স্কুল খুললেও(School reopen) শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে ক্লাস না করানোর অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠল জঙ্গলমহল। জঙ্গলমহলের(Jangalmahal) বাঘমুন্ডি গার্লস হাই স্কুলে(Bagmundi Girls High School) নিয়মিত ক্লাস না হওয়ার অভিযোগ করে স্কুলেরই ছাত্রীরা। এমনকী গাফিলতির অভিযোগ তুললে শাস্তির হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে।

এদিকে প্রায় দু-বছর পর ১৬ই নভেম্বর থেকে রাজ্যে খুলেছে স্কুল। কোভিড প্রটোকল মেনে শুরু হয়েছে নবম দশম একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাস। ক্লাস শুরু হতেই এরই মধ্যে পুরুলিয়ার বাগমুন্ডি গার্লস হাই স্কুলে নিয়মিত ক্লাস না হওয়ার অভিযোগ উঠল। বাগমুন্ডি গার্লস হাই-স্কুলের একঝাঁক ছাত্রী স্কুলের শিক্ষিকার উপর নিয়মিত ক্লাস না নেওয়ার অভিযোগ আনল। তাদের বক্তব্য স্কুলে নিয়মিত ক্লাস হয় না প্রায় দু'বছর পর স্কুল খুলেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত ঠিকঠাক ক্লাস হচ্ছে না। সময় মতো স্কুলে আসেন না শিক্ষিকারা। ক্লাস না হওয়ার অভিযোগ আনতেই বিভিন্নভাবে ধমক দিচ্ছেন শিক্ষিকারা বলে অভিযোগ ছাত্রীদের।

আরও পড়ুন -অচেনা অতিথির কলরবেই গুঞ্জরিত আদিনা জঙ্গল, মালদহের পরিযায়ী পাখিই এখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু

এদিকে গণ্ডোগোলের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি স্কুল পরিদর্শনে গেলেন স্কুল পরিদর্শক। বাগমুন্ডি ব্লকের স্কুল পরিদর্শক অভিষেক পালকে সামনে পেতেই তার কাছে অভিযোগ উগড়ে দিলেন ছাত্রী এবং অভিভাবকেরাও। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অভিষেক পাল বলেন, বিষয়টি দেখছি আমি শিক্ষিকাদের সাথে আলোচনা করছি। এদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রূপা মেহেতা বলেন, এই অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। যথাসম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে ক্লাস নেওয়ার। সাথে সাথে যে সমস্ত বিষয়ের কোন শিক্ষক বা শিক্ষিকা নেই সেই বিষয় গুলোও আমরা অল্টারনেটিভ করে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি।এদিকে স্কুল পরিদর্শক বিদ্যালয়ে আসার পরেই দফায় দফায় শুরু হয় বিক্ষোভ। এমনকী শিক্ষিকাদের সঙ্গে তিনি কথা বলার চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি শুরুতে হাতের বাইরে যায়। আর তাতেই নতুন করে বাড়তে থাকে উত্তেজনা। এদিকে পড়ুয়া ও শিক্ষিকাদের বয়ান সম্পূর্ণ বিপরীত হওয়ায় উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। তবে শেষ পর্যন্ত স্কুল পরিদর্শক পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি প্রশাসনিক মহলও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এমতাবস্থায় সমস্যা সমাধানে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের অপেক্ষা করছেন সকলেই।