সংক্ষিপ্ত
- সারদা কাণ্ডে রাজীব কুমার মামলার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট
- রাজীবকে দেওয়া রক্ষাকবচ তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট
- তবে সাতদিনের মধ্যে রাজীবকে গ্রেফতার করা যাবে না
- রাজীবকে নিজের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় সিবিআই
সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন রাজীব কুমার। কলকাতার প্রাক্তন নগরপালের উপর থেকে রক্ষাকবচ সরিয়ে নিল শীর্ষ আদালত। এর ফলে সিবিআই রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। এই রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ার অর্থ রাজীবকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারবেন সিবিআই গোয়েন্দারা। তবে রাজীবকে সাতদিনের সময় দিয়েছে আদালত। সাতদিনের মধ্যে রাজীবকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই সাতদিনের মধ্যে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারবেন তিনি। এ দিন সুপ্রিম কোর্টের অসবরকালীন বেঞ্চের দুই বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঞ্জীব খন্নার ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। গত পাঁচ ফেব্রুয়ারি রাজীবকে এই রক্ষাকবচ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করল শীর্ষ আদালত।
রাজীবের বিরুদ্ধে মূলত সারদা চিটফান্ড তদন্তের তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ এনেছিল সিবিআই। রাজীব বিধাননগর পুলিশের কমিশনার থাকাকালীন সারদা কর্ণধার সুদীপ্ত সেন, তাঁর সহযোগী দেবযানী মুখোপাধ্যায়-সহ আরও কয়েকজন অভিযুক্তকে কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে গ্রেফতার করেন। তাছাড়া সারদা কাণ্ডে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধানও ছিলেন রাজীব। অভিযোগ, কলকাতা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায়েরা কাদের ফোন করেছিল, সেই কল ডিটলস ঠিক মতো সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। এমনকী, সারদা কাণ্ডে বহচর্চিত পেন ড্রাইভ এবং লাল ডায়েরিও হাতে পায়নি সিবিআই।
শিলংয়ে রাজীবকে দীর্ঘ জেরা করেন সিবিআই গোয়েন্দারা। এমনকী শিলংয়ে সারদা কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কুণাল ঘোষের মুখোমুখি বসিয়েও রাজীবকে জেরা করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। গোটা জেরা পর্বের ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়। এর পরে আদালতে সিবিআই অভিযোগ করে, শিলংয়ে জেরার সময়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন রাজীব। তাই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন। কেন রাজীবকে জেরা করতে হবে, তার কারণ উল্লেখ করে মুখবন্ধ খামে বিশেষ রিপোর্টও আদালতে জমা দিয়েছিল সিবিআই। সেই আবেদনেরই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বৃহস্পতিবারই এডিজি সিআইডি-র পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট করেছেন রাজীব।