সংক্ষিপ্ত
- ভোটের বেলায় কাজী , ভোট মিটলেই পাজি।
- দল নিয়ে এবার আক্ষেপের সুর শুভেন্দুর গলায়।
- কেন বিজেপির ভাগে ভোট পড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন
- সারা বছর কি ওরা পাশে থাকে তাহলে কেন ভোট
ভোটের বেলায় কাজী , ভোট মিটলেই পাজি। মমতার পর দল নিয়ে এবার আক্ষেপের সুর খোদ শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। বিজয়া সন্মেলনে এসে কেন বিজেপির ভাগে ভোট পড়ল, তা নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন করেন পরিবহণ মন্ত্রী।
আর কোনও রাখঢাক নয়। বিজেপিকে রুখতে একেবারে বিজয়া সন্মেলনেই বার্তা ছুড়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের দাপুটে বিধায়ক বলেন, আপনারা দলের থেকেসব সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। কিন্তু লোকসভা ভোটে বুথের ভেতরে অন্য কাজ করেছেন। দুর্গাপুজো,মহরমে কে এসেছে আপনাদের কাছে? যতটা পারি সহযোগিতা করেছি। এমনকী পোশাক বিতরণ থেকে চাল পর্যন্ত দিয়েছি। আমরা তো কখনও বাদ বিচার করিনি । এ সিপিএম করে এ অন্য পার্টি করে। কিন্তু আমাদের কাছ থেকে সমস্ত সুযোগ সুবিধা নেওয়ার পরে বাইরের লোককে ভোট দিলেন।
এদিন প্রথম থেকেই আক্ষেপ তথা অন্তর্ঘাতের সুর শোনা যায় শুভেন্দুর মুখে। তিনি বলেন, লোকসভা ভোটে নদিয়া থেকে একজন এলেন। ঘরের ছেলেকে বাদ দিয়ে আপনারাতাঁকে ভোট দিলেন। এইসব দেখে ব্যথা,যন্ত্রণা হয়। আপনারাই বলেছিলেন, লোকসভা ভোটে ৯৫ হাজার ভোটে লিড দেবেন। তাহলে ৬৯ হাজার ভোট পড়ল কেন? ২৬ হাজার ভোট কেন কম হল। তাহলে আপনার সব নিলেন অথচ ভোট দিলেন না।
তবে শুভেন্দু একা নন। অতীতে দলে অন্তর্ঘাতের সুর শোনা গেছে খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের গলায়। লেকাসভা ভোটে ১৮ টা আসল পাওয়ার পর তৃণমূলে অন্তর্ঘাতের কথা এক প্রকার স্বীকার করে নেন বিজেপির অন্য়তম স্ট্র্য়াটেজিস্ট মুকুল রায়। তিনি জানান, দল থেকে না বেরিয়ে অনেক তৃণমূল নেতা বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন। যার ফল দেখতে পেয়েছে বিজেপি। সরাসরি বিজেপিতে নাম লেখালে মিথ্যে মামলা দিচ্ছিল সরকার। সেকারণেই পরিকল্পনা বদল করে সাফল্য এসেছে। পূর্ব মেদিনীপুরেও যে একই ঘটনা ঘটেছে তা এবার মন্ত্রীর বক্তব্যেই পরিষ্কার।
রাজ্য রাজনৈতিক মহল বলছে,বিজয়া সন্মেলনে নাম না করে আসলে সিদ্ধার্থ নস্করের কথা বলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। নদিয়া থেকে এসে বিজেপির তমলুকের প্রার্থী হয়েছিলেন সিদ্ধার্থবাবু। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন ঘরের ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারী।