সংক্ষিপ্ত
- সংবাদমাধ্যমের উপরে ক্ষুব্ধ সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী
- বন্যা নিয়ে অযথা হইচই না করার পরামর্শ
- উত্তরবঙ্গে অতিবৃষ্টি জেরে পর্যালোচনা বৈঠক সেচমন্ত্রীর
- পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, দাবি মন্ত্রীর
বন্যা হয়েছে বলে অযথা হইচই করছে সংবাদমাধ্যম। বন্যা নিয়ে অহেতুক শোরগোল না করার জন্য তাই সংবাদামদ্যমকে পরামর্শ দিলেন সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। মন্ত্রী অবশ্য স্বীকার করেছেন, একমাত্র উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দোলনচা এলাকায় ১৫ মিটার নদী বাঁধ ভেঙেছে। উত্তরবঙ্গে অন্য কোথাও নদী বাঁধ ভাঙেনি বলেই দাবি সেচমন্ত্রীর।
এ দিন প্রবল বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তৈরি হওয়া বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সমস্ত জেলাশাসক, সেচ দফতরের আধিকারিক, দুই মন্ত্রী গৌতম দেব এবং রবিন্দ্রনাথ ঘোষকে নিয়ে বৈঠক করেন শুভেন্দুবাবু। বৈঠক শেষে তিনি জানান, নদীগুলির জলস্তর বেড়ে যে যে বাঁধগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলির দ্রুত মেরামতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সেচ দফতরের সচিব নবীন প্রকাশকে পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালানোর জন্য উত্তরবঙ্গেই থেকে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
শুভেন্দুবাবু অবশ্য স্বীকার করেছেন,গত এক সপ্তাহের প্রবল বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের যে জেলাগুলির নদীবাঁধগুলি কোনও কোনও জায়গায় দুর্বল হয়েছে,সেগুলি দ্রুত মেরামতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিকে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, সেচ দফতরের ২০১০-২১ সালের বন্যা নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা চলতি বছর নভেম্বর মাসে করা হবে। যাতে আগে থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ করা যায়।