সংক্ষিপ্ত

সংবাদমাধ্যমকে কুণাল জানান, কাঁথি পৌরসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরে সন্তুষ্ট নন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী তার ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর নাম তালিকায় রাখতে চেয়েছিলেন। 

জল্পনা হাওয়ায় ভাসছিল। তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (state general secretary) কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) তাকে আরও উসকে দিয়েছিলেন। কুণাল বলেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা (Leader of the Opposition) ও বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নাকি ফিরতে চাইছেন তৃণমূল কংগ্রেসে (Trinamool Congress)। বিজেপিতে নাকি তাঁর দমবন্ধ হয়ে আসছে। তাই যে কোনও মূল্যেই তিনি ফিরতে চান তৃণমূলে। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে কুণাল জানান, কাঁথি পৌরসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরে সন্তুষ্ট নন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী তার ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর নাম তালিকায় রাখতে চেয়েছিলেন। সৌমেন্দু অধিকারী আগে কন্টাই পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তবে, বিজেপি তা করেনি।

তবে এই বক্তব্যের পাল্টা দিতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারীও। এই বক্তব্যকে সামনে রেখে গোটা জল্পনাটাই ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। পরিষ্কার জানিয়েছেন এটা ফেক নিউজ। বিজেপি কর্মীদের আশ্বস্ত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর দাবি এই ধরণের অপপ্রচারে ও সস্তা রাজনীতির কৌশলে যেন কেউ কান না দেন। বিরোধীদের এই ধরণের প্রচারের ফাঁদে পা না দেওয়াই ভালো। 

বৃহস্পতিবার কুণাল ঘোষ বলেন পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক গতি পরিবর্তিত হয়েছে এবং অধিকারীরা আর আগের মতো মাইলেজ উপভোগ করেন না। আগে অধিকারী পরিবার কাঁথি শাসন করত কিন্তু এখন পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে কারণ তারা সমস্ত ক্ষমতা হারিয়েছে। তাই শুভেন্দু যেভাবেই হোক তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। 

আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশেও 'খেলা হবে', বল হাতেই বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ মমতার

শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের সাথে যোগাযোগ করছেন কিনা জানতে চাইলে কুণাল বলেন "আমি বিশদে যেতে চাই না। আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে তবে এটি দলীয় নেতাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিষয়টির ফলোআপ চলছে।"

আরও পড়ুন, 'পশ্চিমবঙ্গ গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার-আক্রান্ত বিজেপি বিধায়ক মিহির', বিস্ফোরক শুভেন্দু

উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগের সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবারই শুভেন্দুকে খোঁচা দিয়ে বিধাননগর পৌরনিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত বলেন  'আমি অনেকদিন আগেই বলেছিলাম শুভেন্দু আসতে পারলে বেঁচে যায়। আমি যতদূর জানি বিরোধী দলের নেতা হতে গেলে মিনিমাম একটা সংখ্যা পেতে হয়। সেই সংখ্যা পাবে তো। তৃণমূলের পিছন দরজা দিয়ে কোনও দরজা আছে কিনা শুভেন্দু অধিকারী এখন খুঁজে বেড়াচ্ছেন।'