সংক্ষিপ্ত

কারখানার ভেতরে প্রায় ২০ জন কর্মী আটকে পড়ে। দমকল কর্মী ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে।

খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ফ্যাক্টরিতে (food processing factory) আচমকা বিধ্বংসী ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড(Terrible fire)! অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল শুক্রবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রতনপুরে (Ratanpur) এলাকায়। কারখানার ভেতরে প্রায় ২০ জন কর্মী আটকে পড়ে। দমকল কর্মী ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে। প্রথমে আগুন নেভাতে স্থানীয় বাসিন্দারা হাত লাগায়। পরে, পুলিস ও দমকল বাহিনী আসে। কারখানায় আটকে পড়া কর্মীদের দীর্ঘক্ষণ বাদে উদ্ধার করা হয়। আগুনে গুরুতর জখম হয়েছেন ৮ জন শ্রমিক। 

তাদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগুনে কারখানার কয়েক লক্ষ টাকার সমস্ত কাঁচামাল পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় বলে জানান কারখানার ম্যানেজারের একরামূল হক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকলের প্রথমে পাঁচটি ও পরে আরও তিনটি ইঞ্জিন আসে আগুন নেভানোর কাজ। কয়েক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে, আগুন লাগার কারণ হিসেবে ওই বিশাল আকার কারখানায় শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ছড়িয়ে বলে মনে করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে জেলার এক উচ্চ পুলিশ আধিকারিক বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিস ও দমকল বাহিনী মোতায়েন করেছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রতনপুরে একটি বিভিন্ন ধরনের বেকারি ফুড কেক পাউরুটি থেকে শুরু করে সামুই তৈরি হয় ঐ বহুতল ফুড ফ্যাক্টরিতে। আচমকা স্থানীয়রা এক তলা থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পান ৫ তলায় কর্মরত শ্রমিকরা ধোঁয়া আর আগুন দেখতে পেয়ে আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তাঁদের চিৎকার আর চেঁচামেচিতে আশপাশে থেকে বহু লোক ছুটে আসে। কিন্তু, কালো ধোঁয়ায় গোটা কারখানা ভরে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই দাউদাউ করে নিচুতলা জ্বলে ওঠে। 

কারখানার ওপর তলায় যে সব কর্মীরা কাজ করছিলেন তাঁরা বাইরে বেড়িয়ে আসতে পারেননি। বেশ কয়েকজন শ্রমিক আতঙ্কে তিনতলার ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেন। ওই কারখানায় সিমাই, লাচ্চা ও কেক তৈরি হয়। প্রতিদিন প্রায় ২৫-৩০ জন শ্রমিক কাজ করেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, নীচের তলা থেকে ধোঁয়া উপরের বাকি তলাগুলোকেও ঢেকে ফেলে।

ছাদের উপরে থাকা শ্রমিকরা আতঙ্কে চিৎকার করতে থাকেন। দমকল কর্মীরা উপরতলায় আশ্রয় নেওয়া শ্রমিকদের মইয়ে করে উদ্ধার করে। ওই কারখানায় ভিন জেলা নদিয়া, বীরভূমের শ্রমিকরাও কর্মরত বলে জানা গেছে। কারখানার ম্যানেজার একরামুল শেখ বলেন," সম্ভবত ফ্যাক্টরির ভিতরে ইন্টার্নাল ইলেকট্রিক্যাল কোন শর্ট সার্কিট থেকে এই কাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। প্রশাসন তদন্ত করে দেখছে"।