সংক্ষিপ্ত

মালবাজার পুরসভার ৮ নম্বর ওর্য়াডের বাসিন্দা ভাস্কর সরকার তাঁর স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে ভাসান দেখতে গিয়ে হরপাবানের কবলে পরেন। সেই সময়ের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে ঐ সব যুবকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন এরা ভগবানের রূপ, যাঁদের কারনে অনেক প্রাণহানি কম হয়েছে। নিজেদের কথা একটুও না চিন্তা করে এক বাক‍্যে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অনেক প্রাণ বাঁচিয়েছেন এঁনারা। 

মাল নদীতে গত ৫ই অক্টোবর বিজয় দশমীর দিন দুর্গা মায়ের বিদায় দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন অগনিত মানুষ। হঠাৎ মাল নদীতে হড়পা বানের কবলে পরেন তারা সবাই। সন্ধ্যে সাড়ে ৭টা থেকে ৮টা মধ্যে মাল নদীতে ছিল বিসর্জনের ভিড়। সেই সময়ই মাল নদীতে আসে হড়পা বান। সেই সময় অসংখ্য মানুষ ভেসে যান। ভেসে যাওয়া অসহায় মানুষগুলোকে বাঁচাতে এলাকার ১১ জন তরতাজা যুবক নিজেদের প্রাণের তোয়াক্কা না করেই ঝাঁপ দেন নদীতে।

মালবাজার পুরসভার ৮ নম্বর ওর্য়াডের বাসিন্দা ভাস্কর সরকার তাঁর স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে ভাসান দেখতে গিয়ে হরপাবানের কবলে পরেন। সেই সময়ের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে ঐ সব যুবকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন এরা ভগবানের রূপ, যাঁদের কারনে অনেক প্রাণহানি কম হয়েছে। নিজেদের কথা একটুও না চিন্তা করে এক বাক‍্যে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অনেক প্রাণ বাঁচিয়েছেন এঁনারা। সেই ১১ জন যুবকের মধ‍্য থেকে তরিফুল ইসলাম জানান সেই দিনের ঘটনা। তিনি ও তাঁর আত্মীয় মিলে ভাসান ঘাটে এসেছিলেন। সেই সময় ঘটে যাওয়া ঘটনার বিবরন দেন।

এদিকে, মাল নদীর তীরে মোতায়েন থাকা এক সিভিল ডিফেন্সের এক সদস্যের কথায়, ২০ মিনিট ধরে জল বাড়ছিল। আচমকাই এভাবে জলের স্তর বেড়ে যাওয়ায় মাইকিং করার অনুরোধ তারা করেছিলেন। বিসর্জনের জন্য যে সব সরকারি আধিকারিক দায়িত্বে ছিলেন মাল নদীর তীরে। তাদেরকেই নাকি সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা বলেছিলেন মাইকে অ্যানাউন্স করতে এবং মানুষকে নদী বক্ষ ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে।

কিন্তু সেই অনুরোধ রক্ষাই করা হয়নি। ওই সিভিল ডিফেন্সের কর্মী আরও জানিয়েছেন যে বিসর্জনের জন্য তাদের সংগঠন থেকে মাত্র ৮ জনকে মোতায়েন করা হয়েছিল। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য দেওয়া হয়েছিল শুধু দড়ি।

বিসর্জন চলাকালীন রাত সাড়ে ৮টায় হড়পা বান ব্যাপক আকার নেয়। আর তাতে মুহূর্তে ভেসে যান অসংখ্য মানুষ। ভোর রাত পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। যদিও বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ১৬। ৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪০ জন নদীর মাঝে একটি উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিল। হাসপাতালে ১৫ জন ভর্তি রয়েছেন। এরা জলে ভেসে আসা পাথরের ধাক্কায় জখম হয়েছেন।