সংক্ষিপ্ত

কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্যাডি ট্রান্সপ্ল্যান্টার মেশিনটি কৃষক বিশেষ ছাড় দিয়ে ক্রয়ও করতে পারবেন। কিন্তু এখন ওই মেশিনের গুরুত্ব ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ধান চাষের উপকারিতা কৃষকের মাঝে তুলে ধরতে চাইছে কৃষি দফতর।

বিজ্ঞান (Science) আর প্রযুক্তির (technology) এমন অসাধারন মেলবন্ধন দেখার সুবর্ণ সুযোগ যে কোন দিন গ্রামে (Vilage) খোদ নিজের জমিতে দাঁড়িয়েই দেখতে পাবেন তা বোধয় স্বপ্নেও কল্পনা করেননি মাজিদ শেখ,আব্দুর রহমানের মত প্রান্তিক কৃষকেরা (Farmers)। তাই সরকারের স্বপ্নের প্রকল্পকে কাজে লাগিয়ে ধান চাষে অভিনব 'প্যাডি ট্রান্সপ্ল্যান্টার' মেশিন নিয়ে আসা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক পদ্ধতিতে এই প্রযুক্তি কাজে লাগানো হচ্ছে।  

কৃষি বিজ্ঞানের এই নয়া প্রযুক্তির প্রয়োগের খবর চাউর হতেই দূর দূরান্ত থেকে কৃষক সহ বহু কৌতুহলী মানুষের ভিড় জমছে সীমান্তের শহর লালগোলায়। এই যন্ত্র অর্থাৎ প্যাডি ট্রান্সপ্ল্যান্টারের সাহায্যে ধান রোয়ার কাজ শুরুর পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আনতে চাইছে কৃষি দপ্তর। এত দিন যে জমি তৈরি করতে চাষি রোদ -জলে কাদায় একসার হয়ে জমিতে একটি একটি করে ধান রোয়াতেন। এবার সেই দিনের অবসান ঘটতে চলেছে। এদিকে ওই যন্ত্রে ধান রোয়ার কাজ দেখতে কৃষিজীবী তো বটেই, স্থানীয় মানুষজন ভিড় জমায় আলাদা করে প্রশাসনকে নজরদারিও চালাতে হচ্ছে। 

খুব কম সময়ে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্য বিজ্ঞান ভিত্তিক ওই ধান রোয়াতে কৃষিজীবীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ করা গিয়েছে । এই ব্যাপারে পঞ্চায়েতের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ জানান, “শুধু যন্ত্রের সাহায্যে ধান রুয়ে দিয়েই আমাদের কাজ শেষ নয়। নিয়মিত ওই ধানি জমি পরিদর্শন করবে সংশ্লিষ্ট কৃষি দপ্তর। ধানের ফলন বাড়াতে ও বিভিন্ন রোগ ব্যাধি থেকে ধানকে রক্ষা করতে তারা কৃষককে পরামর্শ দেবেন। এই পরীক্ষা মূলক পদ্ধতিতে যদি কৃষক লাভবান হন, তবে সারা জেলা জুড়ে এই প্রকল্পকে কাজে লাগিয়ে ওই যন্ত্র দিয়েই আগামী দিনে ধান চাষে বিপ্লব ঘটবে"।

কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্যাডি ট্রান্সপ্ল্যান্টার মেশিনটি কৃষক বিশেষ ছাড় দিয়ে ক্রয়ও করতে পারবেন। কিন্তু এখন ওই মেশিনের গুরুত্ব ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ধান চাষের উপকারিতা কৃষকের মাঝে তুলে ধরতে চাইছে কৃষি দফতর। এক বিঘা জমিতে মজুর দিয়ে ধান রুইতে সাত থেকে আট ঘন্টা সময় লাগে, সেখানে মেশিনের সাহায্যে মাত্র ২৫-৩০ মিনিট সময় ব্যয় হবে। এতে খরচের হাত থেকে কৃষক যেমন রক্ষা পাবেন তেমনি জমি অল্প পরিমান জল থাকলেই সহজে ধান রোয়া যাবে। অন্যদিকে যাদের জন্য এই বিশেষ আধুনিক কৃষি যন্ত্র আমদানি সেই কৃষকের মুখে এখন চওড়া হাসি। 

স্থানীয় কৃষক মজিদ শেখ, আব্দুর রহমানরা বলেন, “শুনছিলাম যন্ত্রের সাহায্যে ধান পোতা হবে জমিতে। প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। কিন্তু খুব সুন্দর ভাবে যন্ত্র জমিতে ধান পুঁতে দিচ্ছে। জমিতে জল ও কম লাগছে আর মজুর বলতে ওই মেশিনের চালক। মনে হচ্ছে দ্রুত ওই যন্ত্র আমাদের ঘরে ঘরে পৌছিয়ে যাবে।” কার্যত আগামী দিনে কৃষি ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।