সংক্ষিপ্ত

নেতাই দিবসে এবার ঝিটকাতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী  অবশেষে ভীমপুরে অস্থায়ী বেদিতে শহীদ শ্রদ্ধা জানিয়ে ফিরলেন।

লালগড়ে নেতাই-এ শহীদ দিবস(Martyr's Day at Lalgarh Netai) পালন করতে যাওয়ার পথে বাধার মুখে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বঙ্গ বিজেপির অন্যতম প্রধান মুখ শুভেন্দু অধিকারী(BJP leader Shuvendu Adhikari)৷ পুলিশের কাছে কোনো অনুমতি না নিয়ে সভা করতে যাওয়ার পথে ঝিটকার কাছে পুলিশ শুভেন্দু সহ বিজেপি নেতাদের পথ আটকায় বলে জানা যায়৷ পুলিশের কাছে বাধা পেয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা যায় শুভেন্দুকে। সেখান থেকে পুনরায় পেয়ে হেঁটে ফিরে যান শুভেন্দু৷ পুরো ঘটনা নিয়ে আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় তাঁকে। এদিকে পুলিশি বাধার(Police obstruction) মুখে পড়ে সেখান থেকে কয়েকশো মিটার পায়ে হেঁটে ভীমপুরে পৌঁছে অস্থায়ী শহীদ বেদী তৈরী করে সেখানেই নেতাই শহীদ দিবস পালন করে ফিরে যান তিনি৷ এদিকে এই ঘটনা নিয়ে বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।  

এদিকে পুলিশের সঙ্গে যখন বাগবিতন্ডা চলছে তখন শুভেন্দুকে পুলিশকে উদ্দেশ্য করেই বলতে শোনা য়ায়, ‘‘উচ্চ আদালতই আমায় নেতাই যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। আদালতই বলেছে, বাংলার যে কোনও জায়গায় যাওয়ার অধিকার রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। তার জন্য রাজ্যকে নিরাপত্তাও দিতে বলেছে।’’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারী লালগড়ের নেতাই গ্রামে সিপিআইএমের সশস্ত্র বাহিনীর হাতে আক্রমনের ঘটনা ঘটেছিল গ্রামবাসীদের ওপরে। এলোপাথাড়ি গুলিতে স্থানীয় গ্রামের ৯ জন পুরুষ ও মহিলার মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা য়ায়। আহত হয়েছিলেন প্রায় ৩০ জন। আজও বাংলার রাজ্য-রাজনীতিতে(state politics of Bengal) সিপিএমী সন্ত্রাসের(CPIM terror) কথা উঠলেই বারেবারে ফিরে ফিরে আসে নেতাই প্রসঙ্গ। সেই ঘটনার পরে নেত্রীর নির্দেশ পেয়ে সেখানে হাজির হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ সকলকে উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূলের কর্মীদের নিয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি৷ যদিও সেই শুভেন্দুই এখন জার্সি বদলে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে।

আরও পড়ুন-করোনা যুদ্ধে রেড ভলেন্টিয়ারদের টক্কর দিতে মাঠে নামল সবুজ ভলেন্টিয়ার, বড় উদ্যোগ তৃণমূলের

তবে এই ক্ষেত্রে মনে রাখা ভালো ঝাড়গ্রামের নেতাইয়ে শহিদদের স্মরণে ৭ জানুয়ারি শহীদ বেদীতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়ে ২ জানুয়ারি রাজ্যের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন শুভেন্দু। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে জানিয়েছিলেন, কোনও জায়গায় যাওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারীর অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু তারপরেও কেন এমনটা হল সেই প্রশ্নই করছেন বিরোধী দলনেতা। এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে শুভেন্দু বলেন, নেতাইয়ের শহীদ বেদীটাও আমার বানানো, ওদের লজ্জা থাকা দরকার৷ আদালতের নির্দেশ রয়েছে আমাকে রাজ্য সরকার নিরাপত্তা দিয়ে পৌঁছে দেবে সর্বত্রই৷ কিন্তু পুলিশ দলদাসের কাজ করেছে৷ নেতাই শহীদ পরিবারের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক রয়েছে৷ তা এত সহজে ছিন্ন করা যাবে না।