সংক্ষিপ্ত
স্কুলের প্রধান করণিক করোনা পজিটিভ, স্কুল চলাকালীন এল রিপোর্ট। তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য পাঠানো হল মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
স্কুলের প্রধান করণিক করোনা পজিটিভ ( Covid Positive School Chief clerk )। স্কুল চলাকালীন এল রিপোর্ট। তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য পাঠানো হল মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তাঁর সঙ্গে একই গাড়িতে যেসব শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুলে আসেন তাঁদেরকেও তৎক্ষণাৎ বাড়ি ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আতঙ্ক মালদহের এনায়েতপুর হাইস্কুলে (Enayetpur High School in Malda)।
প্রায় দেড় বছর পর খুলেছে রাজ্য়ের স্কুল। তারই মাঝে ফের অঘটন মালদহের এনায়েতপুর হাইস্কুলে । রাজ্যে অন্যান্য স্কুলের সঙ্গে এই স্কুলেও গত কয়েকদিন ধরে শুরু হয়েছে স্বাভাবিক পঠন-মালদহের পাঠন। সংখ্যায় কম হলেও স্কুলে আসছে ছাত্রছাত্রীরা। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে খানিকটা অসুস্থ ছিলেন এই স্কুলের প্রধান করণিক। গতকাল তিনি সোয়াব টেস্ট করান। এরপর বুধবারেও এসেছিলেন স্কুলে। অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক কাজকর্মও শুরু করেন তিনি। এরইমধ্যে সকাল এগারোটা নাগাদ মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে করোনা রিপোর্ট পজেটিভ বলে জানতে পারেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে। পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে একই গাড়িতে যেসব শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুলে আসেন তাঁদেরকেও তৎক্ষণাৎ বাড়ি ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও আরও যাঁরা তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদেরকেও আলাদা করে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্কুল স্যানিটাইজেশন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, করণিকের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে জেলা শিক্ষা দপ্তরে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আপাতত দূরত্ব বিধি মেনে পঠন-পাঠন চালু রাখার উদ্যোগ নিয়েছেন বাকি শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তবে, যেহেতু ছাত্র-ছাত্রীদের কারোরই ভ্যাকসিন নেওয়া হয়নি ফলে স্বাভাবিক আতঙ্ক রয়েছে। প্রসঙ্গত, এবার থেকে আর সপ্তাহের প্রতিদিন স্কুল হবে না। বার ভাগ করে ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে। রবিবার এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তারা। এখন থেকে ক্লাস হবে জোড়-বিজোড় নিয়মে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে সোমবার, বুধবার ও শুক্রবার। এরপর নবম ও একাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে মঙ্গল ও বৃহস্পতিবারে। তবে শনিবার কোনও ক্লাস হবে না। সকাল ১০টা ৫০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টে ৩০ মিনিট পর্যন্ত ক্লাসের সময়সীমা বেছে নেওয়া হয়েছে। আর পাহাড়ি অঞ্চলে সাড়ে ৯ টা থেকে ৩টে পর্যন্ত ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের স্কুলগুলির ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এত কড়া কড়ি সত্ত্বেও ফের কোভিডের মুখোমুখি বাংলার স্কুল।