সংক্ষিপ্ত

শিমলা গ্রামের রাস্তার ধারে চার কাঠা জমি রয়েছে শেফালী বিবি ও তার স্বামীর। কিন্তু কংগ্রেস নেতা মনিরুল ইসলাম ও সাহেব দুজনে মিলে জবর দখল করে রেখেছে শেফালী বিবির জমি বলে অভিযোগ। 

এক তৃণমূল কর্মী (TMC Worker) দম্পতির জমি (Land) জবর দখলের অভিযোগ উঠল এলাকারই কংগ্রেস নেতা (Congress leader) ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। এমনকি ওই জমি নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে ওই দম্পতি সহ তার ছেলেদেরকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলা গ্রামে। যদিও শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই জমি দখল বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে এলাকার কংগ্রেস নেতৃত্ব।

স্থানীয় সূত্রের খবর শিমলা গ্রামের রাস্তার ধারে চার কাঠা জমি রয়েছে শেফালী বিবি ও তার স্বামীর। এরা দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। কিন্তু এলাকার দাপটে কংগ্রেস নেতা মনিরুল ইসলাম ও সাহেব দুজনে মিলে জবর দখল করে রেখেছে শেফালী বিবির জমি বলে অভিযোগ। শেফালী বিবি ও তার স্বামী এব্যাপারে প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের এবং তাদের ছেলেকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে শেফালী বিবি থানাতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত এখনো অধরা। 

যদিও এলাকার কংগ্রেস নেতৃত্ব বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি এটা শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে জমি দখলের লড়াই। এরমধ্যে কংগ্রেসের কোন ভূমিকা নেই। এ প্রসঙ্গে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা মনিরুল ইসলাম ও সাহেব।

শেফালী বিবি জানান এলাকায় একটি রাস্তার ধারে আমাদের চার কাঠা জমি রয়েছে। সেখানে এলাকার কংগ্রেস নেতা সাহেব ও মনিরুল জোরপূর্বক বাড়ি করছে। আমরা এর প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদেরকে বেধড়ক মারধর করে। আমাদের জমি ছাড়তে ওরা নারাজ। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা চাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপে যাতে আমাদের জমি ফেরত দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি আব্দুস শুভান জানান এগুলো ভিত্তিহীন অভিযোগ। এলাকার সবাই জানে তৃণমূলের শাসকগোষ্ঠীর লোকেরাই এলাকায় সিন্ডিকেট রাজ জমি মাফিয়া গিরি করে বেড়াচ্ছে। কংগ্রেসের কোন নেতা এতে জড়িত নয়। এটা ওদের শাসকগোষ্ঠীর দুই দলের লড়াই এর ফল। সঠিক তদন্ত করলে সব বেরিয়ে আসবে।

তৃণমূলের অঞ্চল চেয়ারম্যান সঞ্জীব গুপ্তা জানান আমরা শুনতে পেয়েছি এলাকার আমাদের দীর্ঘদিনের পুরনো তৃণমূল কর্মী শেফালী বিবির উপর কংগ্রেসের জমি মাফিয়া অত্যাচার করেছে মারধর করেছে এবং তার জমি দখল করে নিয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। প্রশাসনকে এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নিতে আবেদন জানাই আমরা।

এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান অভিযোগ পেয়েছি সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।