সংক্ষিপ্ত
- ৪৮ ঘণ্টায় ১১ করোনা আক্রান্ত
- যার জেরে মালদহে বাড়ল কনটেইনমেন্ট জোন
- বিভিন্ন এলাকায় বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেডও বাঁধা হয়েছে
- আক্রান্ত সকলেই ভিন রাজ্য থেকে রাজ্যে ফিরেছে
মালদহে বাড়নো হল কনটেইমেন্ট জোনের সংখ্যা। ৬ মে পর্যন্ত এখানে কনটেইমেন্ট জোনের সংখ্যা ছিল ৩। ৯ মে থেকে তা বেড়ে হয়েছে ৭। এসপি অফিস থেকে জারি করা নির্দেশিকায় এটা উল্লেখ করা হয়েছে। যে নতুন চারটি এলাকা-কে কনটেইমেন্ট জোনের আওতায় ফেলা হয়েছে সেগুলি সব-ই হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের। এই নতুন চারটি কনটেইমেন্ট জোন হল হরিশ্চন্দ্রপুরে ১ নম্বর ব্লকের রানিপুড়া, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের ইসলামপুর, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের মানকিবাড়ি।
আরও পড়ুন- মালদহে ৪৮ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১০, উত্তর দিনাজপুরে ৩, মোট আক্রান্ত ১৩
মালদহে প্রথম করোনাআক্রান্তের হদিশ মেলার পর মানিকচকের নারিদিয়ারা-কে কনটেইমেন্ট জোনের আওতায় ফেলা হয় ২৭ এপ্রিল। এরপর আরও দুই করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলতেই ২৯ এপ্রিল রতুয়ার রাঘাবাতি এবং ডাকবাংলা-কে কনটেইমেন্ট জোনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। ৬ মে কনটেইমেন্ট জোনের যে নতুন তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে এই তিনটি এলাকারই নাম ছিল।
আরও পড়ুন- মালদহে রেশন 'পাচারের চেষ্টা' বানচাল, পিকঅ্যাপ ভ্যানে মিলল চাল ও আটা
হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকে ৪৮ ঘণ্টায় ১১ জন করোনা পজিটিভের ফল মিলতেই নিশ্চিত হয়েছিল কনটেইমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ার বিষয়টি। দেখা গিয়েছে যে যে এলাকা থেকে নতুন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে সেগুলিকেই কনটেইনমেন্ট জোনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ইতিমধ্যেই হরিশ্চন্দ্রপুরের কনটেইমেন্ট জোনগুলি-তে পুলিশ কড়া নজরদারি শুরু করেছে। এলাকার মানুষ গ্রামগুলিতে ঢোকার সমস্ত রাস্তা জুড়ে বাঁশের ব্যারিকেড বেঁধে দিয়েছেন। কিন্তু, এতে সংক্রমণের আশঙ্কা কতটা কমানো যাবে তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই। কারণ, করোনা পজিটিভ-এর ফল আসার আগে এই মানুষগুলি এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছে। বিভিন্ন মানুষ এদের সংস্পর্শে এসেছে।
আরও পড়ুন-লকডাউনে খাদ্য বলতে কচুপাতা সেদ্ধ, অন্নের হাহাকারের কান্নায় ১০০টি প্রান্তিক পরিবারের