সংক্ষিপ্ত

মঙ্গলবার থেকেই তালাবন্ধ পুরুলিয়া শহরের দুলমির জেলা তৃণমূল কার্যালয়। বর্তমানে পুরুলিয়া জেলায় রইল না কোন জেলা তৃণমূল কার্যালয়।

পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলে (TMC district organization) রদবদলের (reshuffle) পরই তালা পড়ল জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে (district TMC office)। গোটা রাজ্যের সাথে সাথে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলে আমূল পরিবর্তন হয়। বদল করা হয় জেলা সভাপতি, মহিলা সভাপতি, যুব সভাপতি, চেয়ারম্যান সহ একাধিক পদাধিকারীদের। বদল করা হয়েছে পুরুলিয়া পৌরসভার প্রশাসককেও। এরপর মঙ্গলবার থেকেই তালাবন্ধ পুরুলিয়া শহরের দুলমির জেলা তৃণমূল কার্যালয়। 

মঙ্গলবার বিকেল অবধি সুনসান ছিল জেলা কার্যালয়। দরজার বাইরের চেয়ার ফাঁকা অবস্থায় পড়ে রয়েছে, বিভিন্ন পত্রিকা পড়ে রয়েছে মূল দরজার গেটে। দেখা গেল না কোন নিরাপত্তারক্ষীকে। বর্তমানে পুরুলিয়া জেলায় রইল না কোন জেলা তৃণমূল কার্যালয়। তাহলে কি রদবদলের পরই মনোমালিন্যের জেরেই তালা ঝুলল জেলা কার্যালয়ে? নাকি এটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের ? উঠছে প্রশ্ন।

এবিষয়ে প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সভাপতি গুরুপদ টুডুকে ফোন করা হলে তিনি জানান, "ওই জেলা তৃণমূল কার্যালয়টি তাঁর ব্যক্তিগত। এখন জেলা সভাপতি নেই, তাই ওই কার্যালয়টিও নেই। বর্তমানে পুরুলিয়া জেলায় জেলা তৃণমূল কার্যালয় এখন নেই।"

মঙ্গলবার পুরুলিয়া জেলা সভাপতিকরা হয় জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা কাশীপুর বিধান সভার প্রাক্তন বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়ার পুত্র সৌমেন বেলথরিয়াকে। যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি হন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সদস্য মেঘদুত মাহাতো। অন্যদিকে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোকে দেওয়া হয় রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ।

শান্তিরাম মাহাতোর বদলে জেলা চেয়ারম্যানের নতুন দায়িত্ব পান হংসেশ্বর মাহাতো। নিয়তি মাহাতোর পরিবর্তে জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি হন নমিতা সিং মুড়া। বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোর পরিবর্তে জেলা যুব সভাপতির নতুন দায়িত্ব পান মেঘদূত মাহাতো।