সংক্ষিপ্ত
কিশোরী মেয়ের ওপর শারীরিক নিগ্রহ সহ্য করতে না পেরে মা এবং মেয়ে দুজনে মিলে খুন করল সৎ বাবাকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে ডোমজুড়ের পার্বতীপুরে। ডোমজুড় থানার পুলিশ এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করেছে মা এবং মেয়েকে।
কিশোরী মেয়ের ওপর শারীরিক নিগ্রহ সহ্য করতে না পেরে মা এবং মেয়ে দুজনে মিলে খুন করল সৎ বাবাকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে ডোমজুড়ের পার্বতীপুরে। ডোমজুড় থানার পুলিশ এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করেছে মা এবং মেয়েকে।
শ্বাসরোধ করে খুন
বুধবার রাতে ডোমজুড়ের পার্বতীপুরে সোনার দোকানের মালিক শেখ সালাম নিজের বাড়িতেই খুন হন। বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। বিবাহিত শেখ সালাম এর আগে মুম্বাইতে থাকলেও কয়েক বছর ধরে ডোমজুড়ে থাকছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও তার কিশোরী মেয়ে। গতকাল রাতে তার স্ত্রী সুলতানা বেগম প্রতিবেশীদের ঘরে ডেকে আনেন। তারা ঘরে ঢুকে দেখেন শেখ সালাম বিছানার ওপর পড়ে রয়েছে। গলায় কালো দাগ। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।
সালামের মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে জিভ
প্রতিবেশীদের কাছে সুলতানা বলেন, সন্ধ্যাবেলায় দুজন লোক তাদের বাড়িতে আসার কথা ছিল। সেই কারণে আগেই শেখ সালাম তাঁদের বাড়ী ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এরপর তারা আত্মীয়র বাড়ি বেরিয়ে যান। আধঘন্টা বাদে তাঁরা যখন ঘরে ফেরেন তখন দেখেন শেখ সালামের মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে জিভ। প্রতিবেশীদের ডাকলে তারাও দেখেন মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ডোমজুড় থানার পুলিশ।
কিশোরী মেয়ের ওপর শারীরিক নিগ্রহ
মৃতদেহ উদ্ধারের পর মা এবং মেয়েকে থানায় আটক করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এর পরেই জেরায় ভেঙে পড়ে ওই দুইজন। মা এবং মেয়ে দুজনেই পুলিশের কাছে জানায় শেখ সালাম দীর্ঘদিন মেয়ের উপর শারীরিক নিগ্রহ করত। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তারা খুনের ছক করে। গতকাল রাতে পরিকল্পনা মাফিক শেখ সালামকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। পুলিশের কাছে এই স্বীকারোক্তির পর দুজনকে গ্রেপ্তার করে ডোমজুড় থানার পুলিশ। পুলিশ একটা খুনের মামলা শুরু করে তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন, পাতিপুকুরকাণ্ডে গ্রেফতার ২, 'এখানেই রিজওয়ানুর দেহও পাওয়া গিয়েছিল', দাবি এলাকাবাসীর
ধর্ষণ কাণ্ডেও উত্তাল রাজ্য
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে মাটিয়া ধর্ষণ কাণ্ডেও উত্তাল রাজ্য। এই ধর্ষণকাণ্ড রাজ্য দেশ তোলপাড় হয়েছে। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি তারা এই নির্যাতিতার ঘটনাকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটার অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। বিক্ষোভ অবস্থান স্মারকলিপি প্রদান প্রভৃতি একাধিক ভাবে দরবার করেছেন প্রশাসনিক মহলে। যদিও রামপুরহাটকাণ্ডের মত এখনও তদন্ত রাজ্যপুলিশ থেকে হস্তান্তর হয়নি। বরং রাজ্য পুলিশের তদন্তে আস্থা রয়েছে হাইকোর্টের। বৃহস্পতিবার মাটিয়া ধর্ষণ কাণ্ড পুলিশকে কেস ডাইরি ও মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।