সংক্ষিপ্ত

  • তৃণমূলে যোগ দেওয়ার হিড়িক বিজেপিতে
  • মেদিনীপুর শহরে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির তিনজন পঞ্চায়েত সদস্য
  • ফলে ওই পঞ্চায়েত সমিতির ২৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে এল ১৭টি
  • বিজেপির কমে হলো ৮টি

বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর থেকেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার হিড়িক বিজেপিতে। বুধবার রাতে মেদিনীপুর শহরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে দলের পতাকা হাতে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির তিনজন পঞ্চায়েত সদস্য। যার ফলে ওই পঞ্চায়েত সমিতির ২৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে এল ১৭ টি। বিজেপির কমে হলো ৮টি। 

বুধবার রাতেই জেলাশাসকের কাছে বোর্ড গঠনের অনুমতি চাইলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি।বুধবার রাতে মেদিনীপুর শহরে ফেডারেশন হলে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বিজেপির ওই তিনজনের হাতে দলের পতাকা তুলে দিয়েছেন। এরা হলেন বিজেপির টিকিটে জেতা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মানস সিংহ, পীযূষ দাস, গোপাল জানা। এই তিনজন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছাড়াও বিজেপির স্থানীয় নেতা রাধাকান্ত সিংহ যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।

আরও পড়ুন - কোভিডে ২০২০-র স্মৃতি ফিরল আবার, লোকাল ট্রেন বন্ধে ফাঁকা স্টেশন-লঞ্চঘাট চত্বর, দেখুন ছবি

এরপরই তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি জানান, বিজেপির কাছ থেকে আরও তিনজন জেতা পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আগে আরও কয়েকজন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এর ফলে পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ পদে রয়েছে তৃণমূল। এরপরেই বোর্ড গঠন করার আবেদন রাজ্য সরকারের কাছে জানানো হবে। জেলা শাসকের কাছে ইতিমধ্যেই এই প্রক্রিয়ায় অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে যাতে বোর্ড গঠন করা যায়, তার প্রস্তুতি নেওয়া হবে। 

তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি জানান, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বিজেপি ১৩ টি আসনে জিতলেও কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে আজ পর্যন্ত বোর্ড গঠন হয়নি। নানা জটিলতায় বিষয়টি আটকে ছিল। গোটা ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পরে পরিস্থিতি পাল্টাতে এবার বোর্ড গঠনের পথে তৃণমূল।

এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয়বারের জন্য  রাজভবনে শপথ গ্রহণ করেন ৫ই মে।  ২০১১ থেকে পথ চলা শুরু, তারপর বাংলার মসনদে দশ বছর পার। প্রথম ধাক্কায় ছিল পরিবর্তনের ঝড়। দ্বিতীয় ধাক্কায় ছিল না তেমন কোনও  প্রতিদ্বন্দ্বী। তৃতীয়বারে এসে কড়া টক্করে গেরুয়া শিবির, প্রতিটা মুহূর্তে সকলের মনে ছিল একটাই প্রশ্ন, ট্রেন্ড কোন দিকে! কী হতে চলেছে, একের পর এক শাহী সফর বাংলার বুকে, আসছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী, ভিড় উপচে পড়েছে সর্বত্র, তবুও বাংলার সিংহাসনে জনতা চেয়েছে বাংলার মেয়েকেই। ২ মে তা হাতে নাতে প্রমাণ পেল সকলেই। ৫ মে তাই তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নেন।