সংক্ষিপ্ত

  • সম্ভাব্য মন্ত্রী হওয়া নিয়ে শুরু  জোর প্রতিযোগীতা
  •  মন্ত্রিত্ব নিয়ে বিধায়কদের মধ্যে  টক্কর দেওয়া চলছে
  • প্রশ্ন, তাঁদের মধ্যে কে কে মন্ত্রী তালিকায় ঠাঁই পাবেন
  • তৃণমূলের দলের অন্দরে শুরু হয়েছে মারপ্যাঁচের 'খেলা'  

 

শুরু মন্ত্রিত্বের প্রতিযোগিতা। একদিকে  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয়বারের জন্য  রাজভবনে শপথ গ্রহণের পরই  তার  আঁচ এসে পড়ল বাংলাদেশ লাগোয়া সীমান্তবর্তী জেলা মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের অন্দরে। জেলায় ২০টি মধ্যে ১৮ টি আসনে জিতে রেকর্ড গড়ে জেলায় সম্ভাব্য মন্ত্রী হওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূলের বিধায়কদের মধ্যে জোর একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার প্রতিযোগিতা। সেক্ষেত্রে  কংগ্রেসের ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থীদের থেকে শুরু করে বামেদের লাল দুর্গ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরই ওই আসন গুলির জয়ী তৃণমূল প্রার্থীদের মধ্যে মন্ত্রিত্ব হওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে মারপ্যাঁচের 'খেলা' বলেই সূত্রের খবর। 

আরও পড়ুন, Live Covid 19- কোভিডে বাংলায় রেকর্ড মৃত্যু, মোদীকে চিঠি মমতার, প্রাণ হারালেন প্রাক্তণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী 

 


যেমন কেউ দীর্ঘদিনের লাল দুর্গের অহংকার ভেঙে দিয়েছেন  জেলায়, তেমনি কেউ তৃণমূলের দুর্দিনের সৈনিক হিসেবেও কংগ্রেসের মিথ  কে ধুলিস্যাৎ করে  জয়ী হয়েছেন। তাই তাঁদের মধ্যে কে কে মন্ত্রী তালিকায় ঠাঁই পাবেন তা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ক্যাবিনেটে যাওয়ার জন্য জয়ী প্রার্থীদের অনেকেই কলকাতায় যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন বলেই বিশেষ সূত্র মারফত জানা যায়। তবে তৃণমূলের তরফে জানা গিয়েছে, কোনও সুপারিশ নয়, দক্ষ ও যোগ্যরাই এবারের মন্ত্রী তালিকায় ঠাঁই পাবেন। মহম্মদ আলি লালগোলায় কংগ্রেসের গড় ভেঙে দিয়েছেন। এখানে অন্য কোনও দল অতীতে কোনওদিনই জয়ী হতে পারেনি। সেখানে মহম্মদ আলি এবার ৫৫শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তিনি বহু বছর ধরেই দলের সঙ্গে রয়েছেন। পেশায় শিক্ষক। সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এবারও সুব্রত সাহা জয়ী হয়েছেন। তিনি ২০১১ সাল থেকে জিতে আসছেন। দলের পুরনো সৈনিক হওয়ায় মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। রানিনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন সৌমিক হোসেন। তিনি জেলায় লড়াকু নেতা হিসেবে পরিচিত। কান্দি বিধানসভা কেন্দ্রের জয়ী প্রার্থী অপূর্ব সরকার অতীতে একাধিক সরকারি পদে ছিলেন। 

আরও পড়ুন, আজ থেকে বন্ধ লোকাল ট্রেন, শুক্রবার থেকে বাতিল একাধিক দূরপাল্লাও, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা  

 

 

এছাড়া ডোমকলের জয়ী প্রার্থী জাফিকুল ইসলাম, ভগবানগোলার ইদ্রিশ আলিও সেই তালিকায় রয়েছেন। ইদ্রিশ সাহেব জেলায় সবচেয়ে বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন। তবে জেলার বাসিন্দারা যাঁদের নাম নিয়ে চর্চায় রয়েছেন তাদের বাইরে অন্য কাউকে মন্ত্রী করে দল চমক দেয় কিনা তা দেখতেও অনেকেই মুখিয়ে রয়েছেন। কারণ আরও অনেকেই বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন।  তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটপ্রচারে এসে জেলার বাসিন্দাদের আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন ‘সরকার গঠনে আপনাদের বড় ভূমিকা নিতে হবে’। নেত্রীকে দেওয়া কথা রেখেছেন জেলার বাসিন্দারা। তাই এবারের মন্ত্রিসভায় জেলার একাধিক বিধায়ক ঠাঁই পেতে পারেন বলে অনেকেই আশাবাদী।  যদিও এই নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও মুখবন্ধ স্থানীয় নেতৃত্বের।