সংক্ষিপ্ত
- দুর্গাপুরে যুবতীকে কিনে নেওয়ার চেষ্টা
- তন্ত্র সাধনার জন্য কাজে লাগানোর দাবি
- দাম দেওয়া হল ছ' লক্ষ টাকা
- তিন জনকে ধরে মার স্থানীয়দের
তন্ত্র সাধনার নামে একটি গরিব পরিবারের মেয়েকে কিনতে এসে জনরোষের শিকার তিন দুষ্কৃতী। যাদের মধ্যে ছিল এক মহিলাও। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে দুর্গাপুরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত অঙ্গদপুর গ্রামে। স্থানীয় কোক ওভেন থানার পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জনকে আটক করে নিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা প্রত্যেকেই নদিয়া জেলার বাসিন্দা।
দুর্গাপুর পুরসভার একশো দিনের সুপারভাইজার হিসেবে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে কাজ করতেন অঙ্গদপুরের এক যুবতী। সেখানকার এক কর্মীর মাধ্যমে প্রায় এক মাস ধরে ওই যুবতীকে কেনার জন্য বারংবার আবেদন জানায় কয়েকজন বহিরাগত। প্রস্তাব দেয়, ওই যুবতীকে তাদের হাতে তুলে দিলে ছয় লক্ষ টাকা দেওয়া হবে তাঁর পরিবারকে।
কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি ওই যুবতীর পরিবার। এর পরেই মঙ্গলবার রাত ন'টা নাগাদ এক মহিলা-সহ তিনজন ওই যুবতীর বাড়িতে হাজির হয়। সেই সময় ঘরের দরজা বন্ধ করে ওই যুবতীর বাবা অমর বাউরি স্থানীয় ক্লাবে খবর দেন। এরপর স্থানীয় প্রতিবেশী এবং ক্লাবের ছেলেরা মিলে ওই তিনজনকে পাকড়াও করে মারধর করে।
ওই যুবতীর পরিবারের দাবি, তন্ত্র সাধনার জন্য মেয়েটিকে তাদের দরকার বলে জানানো হয় পরিবারকে। যুবতীর জ্যাঠতুতো দাদা রাকেশ বাউরির অভিযোগ, নরবলি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তাঁর বোনকে কিনতে এসেছিল ওই তিন জন। পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে। এই দলটিতে মোট দশজন সদস্য আছে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, নারী পাচারকারী চক্রের মাধ্যমে ওই যুবতীকে কেনার জন্য বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকায় আনাগোনা বাড়িয়েছিল বহিরাগত কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা। এমন অবস্থায় এলাকার মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।