সংক্ষিপ্ত

  • নবমীর রাতে নিখোঁজ হয়ে যান এক পুরোহিত
  • বৃহস্পতিবার তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়
  • ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়
  • তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ 

মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে সপরিবারে শিক্ষককে খুনের ঘটনায় তোলপাড় চলছে রাজ্যে। গত বৃহস্পতিবার এক পুরোহিতের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্রকে কিন্তু ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল নদিয়ার শান্তিপুরেও।  ঘটনার দিন দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। চলে পথ অবরোধও।  দু'দিন পর অবশেষে তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় মৃতের পরিবারের লোকেরা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

মৃতের নাম সুপ্রিয় বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। শান্তিপুরের বাগাছড়া পঞ্চায়েতের বাগদেবীতলা মন্দিরের পুরোহিত ছিলেন তিনি।  গত সোমবার নবমীর রাতে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান সুপ্রিয়বাবু।  গ্রামবাসীদের দাবি,  পাশের গ্রামে একটি দুর্গাপুজো করছিলেন ওই পুরোহিত। পুজো সেরে রাতে পায়ে হেটেই বাড়ি ফিরতেন। নবমীর রাতে পুজো সেরে ফেরার পথেই নিখোঁজ হন সুপ্রিয়বাবু। বহু খোঁজাখুঁজি করে তাঁর আর কোনও হদিশ পাননি স্থানীয় বাসিন্দারা।  গত বৃহস্পতিবার বাগদেবীতলা মন্দিরের কাছেই একটি ডোবায় সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃতদেহ ভাসতে দেখেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি জানাজানি হতেই তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। শান্তিপুর থানার পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, তখন পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।  মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুরু হয় পথ অবরোধ।  ঘটনার সিআইডি তদন্তের দাবি তোলেন গ্রামবাসী ও মৃতের পরিবারের লোকেরা। শেষপর্যন্ত রানাঘাটের এসডিপিও-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুজোর মাঝে এক নিরীহ পুরোহিত কে খুন করল? কেনই বা তাঁকে খুন করা হল? তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার দিন রাতে অবশ্য তিনজনের বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  এদিকে এই ঘটনায় আবার লেগেছে রাজনীতির রং। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর দাবি, সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের দলের সমর্থক ছিলেন। স্রেফ এই কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে।