সংক্ষিপ্ত
- দিঘার সমুদ্রে শুরু জলোচ্ছ্বাস
- দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জল বাড়ছে
- উপকূলবর্তী এলাকায় চরম সতর্কতা
- সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের
ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yaas) স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগেই দিঘার সমুদ্রে শুরু হয়েছে গেছে জলোচ্ছ্বাস। সমুদ্র বাঁধ ভেঙে নোনা জল ঢুকতে শুরু করেছে চাষের জমিতে। বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কার দিনগুণছেন দিঘা ও সংলগ্ন এলাকার কৃষকরা। দিঘা বা মন্দারমণি নয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতেও নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস ঘূর্ণিঝড় যশCyclone Yaas-এর প্রভাবে দিঘার সমুদ্রে জলোচ্ছাস ৪ মিটার পর্যন্ত হতে পারে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটের বুলেটিনে মৌসম ভবন জানিয়েছে জলোচ্ছ্বাস সব থেকে বেশি হবে পূর্ব মেদিনীপুরে। Cyclone Yaas যখন স্থলভাগে আছড়ে পড়বে সেই সময় জলতলের উচ্চতা ২-৪ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জলতলের উচ্চতা ২ মিটারের বেশি হবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসমভবন। পূর্ব মেদিনীপুর আর দক্ষিণ ২৪ পরগনার জন্য এখন থেকেই লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
দিন কয়েক আগে থেকে ঘূর্ণিঝড় যশের কারণে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। আগে থেকে মৎসজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। দুর্ঘটনা এড়াতে গত কয়েক দিন ধরেই উপকূলবর্তী এলাকায় টহল দিচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও উপকূল রক্ষী বাহিনী। উপকূলবর্তী নিচু এলাকার বাসিন্দাদের আগে থেকে সরিয়ে নিরাদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় যশের সঙ্গে এবার প্রবল বৃষ্টি হবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ বেশ কয়েকটি জেলায় প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। সেই কারণেই কয়েকটি জেলায় বন্যাপরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে সুবর্ণরেখা কংশাবতী দামোদর, ময়ুরাক্ষী অজয়ের জলস্তরের দিয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
দুই মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, কলকায়া মঙ্গলবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে মৌসমভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী। বুধবার অতিভারি বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। বুধবাই ওড়িশার বালাসোরের কাছে ঘূর্ণিঝড় যশ আছড়ে পড়তে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।