সংক্ষিপ্ত

  • ঘূর্ণিঝড় যশের মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন
  • গঙ্গার পাড়ে চুঁচুড়ার বিধায়কের মাইকিং
  • খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম
  • ঝড়ের মোকাবিলায় তৈরি হুগলি প্রশাসন

আসছে যশ। খুব বেশি সময় হাতে নেই। মাত্র কয়েকঘন্টা। যশের করাল গ্রাস থেকে মানুষজনকে রক্ষা করতে অন্যান্য জেলার মতো হুগলি জেলা প্রশাসনও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে তৎপর। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। চারিদিকে একটা চাপা উত্তেজনা। একে করোনার দাপটে জেলা ত্রাহি ত্রাহি রব তার মধ্যে আবার নতুন বিপদ যশ। সাধারণ নাগরিক থেকে জেলাপ্রশাসন শঙ্কিত। 

সূত্রের খবর এই ঝড় হুগলিতে প্রবল বেগেই হানা দিতে পারে। তবে নবান্নের নির্দেশনুযায়ী জেলা প্রশাসন বিপদকালীন প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। এ বিষয়ে এদিন জেলা শাসক পি দীপাপ প্রিয়া জানান, প্রতিটি ব্লক, পুরসভায় কুইক রেসপন্স টিম তৈরী রাখা হয়েছে। আরামবাগে এসডিআরএফ টিম রাখা হয়েছে। স্পিড বোট প্রত্যেক সাবডিভিশনে থাকছে। প্রত্যেক হাসপাতালে নজর রাখতে বলা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন পরে এই সময়। তাই তেল ভরে রাখতে বলা হয়েছে। স্টান্ড বাই রাখা চালকরা বাড়ি না চলে যায় সেটা বলা হয়েছে। 

পুলিশ, দমকল,বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর,পূর্ত ও সেচ দপ্তরের আধিকারীকদের নিয়ে টিম তৈরী করা হয়েছে। যদি খুব বড় বিপর্যয়ে মোবাইল পরিষেবা বসে যায় তার জন্য স্যাটেলাইট ওয়াকিটকির(আরটি মোবাইল) ব্যবস্থা থাকছে। বলাগড়ে রেসকিউ সেন্টারে ২৫ জনকে নিয়ে আসা হয়েছে। কি কি করা যাবে, কি করা যাবে না তার জন্য মাইক প্রচার চলছে। পুরসভা এলাকায় ড্রেন কোথায় বন্ধ হয়ে আছে সেগুলোকে পরিষ্কার করা হচ্ছে। গাছ ট্রিমিং করা হয়েছে। ইলেকট্রিক পোস্ট কোথাও বিপদজনক থাকলে তাও দেখছে এসিডিসিএল। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার,ত্রিপল, জল, ওষুধ মজুত রাখা হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে দশটি করে রেসকিউ সেন্টার করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী তা চলবে।

জেলার কন্ট্রোল রুম নং ০৩৩২৬৮১২৬৫২, ০৩৩২৬৮০০১১৫, ৮১০০১০৬০২২, ৮১০০১০৬০৪১।  পাশাপাশি যশ নিয়ে সতর্ক করতে জনপ্রতিনিধিরাও রাস্তায় নেমেছেন। এদিন চুঁচুড়াতে গঙ্গার পাড়ে চুঁচুড়ার বিধায়ককে মাইক হাতে প্রচার করতে দেখা যায়। চুঁচুড়া ষন্ডেশ্বরতলায় বেশকিছু পরিবার গঙ্গার পাড়ে বাস করেন। তাদের সতর্ক করার পাশাপাশি স্থানীয় স্কুল বাড়িতে আশ্রয় শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। গত বছর আমফানের তান্ডবে ক্ষত এখনো রয়ে গেছে। 

আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ১৫৫-১৬৫ কিমি বেগে ঝড় আছড়ে পড়তে পারে স্থলভাগে। সেক্ষেত্রে গাছ ভাঙা থেকে বাড়ি ঘরের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। বিশেষত নদী তীরবর্তী এলাকায়। তাই আগে ভাগেই বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও।

আরামবাগ পুরসভা ইতিমধ্যেই শহর থেকে সমস্ত বড়ো হোর্ডিং খুলে নিয়েছে। সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত এলাকায় প্রশাসনিক মিটিং করেছেন। খানাকুলে বাঁধগুলি রক্ষায় তৎপর হয়েছেন সেখানকার তৃণমূল নেতা মুন্সি নজবুল করিম।জেলা সিভিল ডিফেন্সে বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুতি চলছে। জনসাধারনের উদ্যেশ্যে মাইক প্রচার চালাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।।