সংক্ষিপ্ত

পুরুলিয়া পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শামীম দাদ খানকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। তাই তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। এরপর ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসের হয়ে তিনি লড়াই করছেন। অন্যদিকে, এই ওয়ার্ডে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করছে নতুন মুখ ফাইজাল কামাল আশরাফকে।

কংগ্রেসের বুথ অফিস (Congress Booth Office) ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। আজ সকালে পুরুলিয়া পৌরসভার (Purulia Municipality) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের (Congress)। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এদিকে নির্বাচনের মুখে দলীয় কার্যালয় ভেঙে দেওয়ায় ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

এবার পুরুলিয়া পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শামীম দাদ খানকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। তাই তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। এরপর ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসের হয়ে তিনি লড়াই করছেন। অন্যদিকে, এই ওয়ার্ডে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করছে নতুন মুখ ফাইজাল কামাল আশরাফকে। শামীম দাদ খানের ছেলে তথা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার সোহেল দাদ খানের অভিযোগ, বুধবার সন্ধে ৭টা নাগাদ কংগ্রেস প্রার্থী শামীম দাদ খান কংগ্রেসের বুথ অফিস উদ্বোধন করেন। আর আজ সকালে দেখা যায় সেই পার্টি অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন- এবার মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে ডাক পাঠালেন রাজ্যপাল, চলতি সপ্তাহেই আসার আহ্বান

তিনি আরও অভিযোগ করেন, "তৃণমূল কর্মীরা এর আগে কংগ্রেসের পোস্টার-ব্যানার (Poster) নষ্ট করেছে। কর্মীদের গুলি করে মেরে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যেদিন থেকে তৃণমূল জানতে পেরেছে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন শামীম দাদ খান সেদিন থেকে বুঝতে পেরেছে এই ওয়ার্ডে তারা হারবে। তাই এখন এইসব করছে। যা হয়েছে তা মেনে নেওয়া হবে না। এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনকেও জানানো হবে। ভাই ভাই লড়াই করানো হচ্ছে। মহল্লায় দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।"

আরও পড়ুন- এসএসসি গ্রুপ সি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানে স্থগিতাদেশ চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকার

কংগ্রেসের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ফাইজাল কামাল আশরাফ ওরফে শাহী। তিনি বলেন, "আমাদের কেউ পার্টি অফিস ভাঙেনি। আমাদের মানসিকতা এই রকম নয়। দিদির আশীর্বাদ না পেয়ে পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। এলাকায় এমন কাজ করেছে যে দল টিকিট দেয়নি। এই এলাকা শান্ত এলাকা। ওরা নিজেরাই পার্টি অফিস ভেঙে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে।"

আরও পড়ুন- নৈহাটিতে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি, অল্পের জন্য রক্ষা

উল্লেখ্য, পুরভোটের (WB Municipal Election) দামামা বেজে গিয়েছে রাজ্যে। আর প্রার্থী তালিকা (Candidate list) ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অসন্তোষের ছবি দেখা গিয়েছিল। দলের টিকিট (Ticket) না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন অনেকেই। এমনকী, কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ (Agitation) দেখান তাঁরা। কেউ আবার দলের টিকিট না পেয়ে যোগ দিয়েছেন অন্য দলে, আবার কেউ দাঁড়িয়েছেন নির্দল হয়ে। সেই সব 'বেসুরো'-র বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দল। ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের ২০ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।