সংক্ষিপ্ত

কলকাতার পৌরসভা নির্বাচনের আগেও দশ দিগন্ত শিরোনামে ইস্তেহার প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলকে। এবার অন্যান্য জেলার নির্বাচনী ইস্তেহারেও দেখা গেল একই কৌশল।

কলকাতার পর ইতিমধ্যেই নির্বাচনী দামামা বেজে গিয়েছে রাজ্যের অন্যান্য পুরনিগমগুলিতেও। চলতি মাসের শেষেই রয়েছে ভোট পর্ব। রাজ্যের চার পুরসভায় নির্বাচন রয়েছে চলতি মাসের ২২ তারিখ। তবে যে ভাবে রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ সেখানে ভোট নিয়ে তৈরি হয়েছে দোলাচল। ইতিমধ্যেই রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) ভোট নিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের শাসক দলের তরফে। এদিকে ভোট পর্ব এগিয়ে আসতেই পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েছে শাসক বিরোধী প্রতিটা রাজনৈতিক দলই। এতাবস্থায় এবার শুক্রবার আসানসোল, বিধাননগর, শিলিগুড়ি এবং চন্দননগর (Asansol, Bidhannagar, Siliguri and Chandannagar) পুরসভার ভোটের জন্য ইস্তেহার করে ফেল তৃণমূল (Election Manifesto of Trinamool)। যা নিয়েই বর্তমানে নতুন চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

এদিকে কলকাতার পৌরসভা নির্বাচনের (Kolkata Municipal Election) আগেও দশ দিগন্ত শিরোনামে ইস্তেহার প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলকে। এবার অন্যান্য জেলার নির্বাচনী ইস্তেহারেও দেখা গেল একই কৌশল। এদিন তৃণমূলের তরফে প্রকাশিত চন্দননগরে পৌরসভার নির্বাচনী ইস্তেহারে নিকাশি ও নর্দমা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন, সড়ক পরিকাঠামো ব্যবস্থার উন্নতি, জল সরবরাহ, শৌচাগার ব্যবস্থার উন্নতি,শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি, স্বাস্থ্যের উন্নতি, সমাজ কল্যান, প্রশাসনিক জটিলতার সরলীকরণ, সংস্কৃতি ও পর্যটনে জোর দেওয়ার পাশাপাশি সর্বোপরি নাগারিক বান্ধব চন্দনগর গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে শাসক দলের তরফে। এদিকে চন্দননগর ও সংলগ্ন এলাকায় যে নিকাশির সমস্যা দীর্ঘদিনের তা মানছেন সকলেই। এমনকী সম্প্রতি এই ইস্যুতে একাধিকবার সরব হতে দেখা গিয়েছে বিজেপি। মশারি নিয়ে ভোট প্রচারও করেছে গেরুয়া শিবির। এমতাবস্থায় ফের চন্দননগরে তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরলে প্রথমেই নিকাশি ব্যবস্থার মানোন্নয়নে জোর দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে জনরোষ ঠেকাতেই এই বিষয়ে সবার আগে জোর দিতে চাইছে শাসক দল।

আরও পড়ুন-  ড্রোন দিয়ে চলছে পুণ্যস্নান, কোভিড বিধি মানতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ

যদিও বিরোধীদের দাবি, এরপকম প্রতিশ্রুতি আগেও বহু বার দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তবে করোনা উদ্বেগ বাড়তে থাকায় ভোটের ভবিষ্যত যে ক্রমশ অন্ধকার হচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই চার পুরসভার ভোট নিয়ে মামলা এখনও আদালতে আটকে রয়েছে। ভোট পিছনো হবে নাকি নির্ধারিত দিনই হবে সেই বিষয়ে রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত। যদিও কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য বিপর্যয় পরিস্থিতির ঘোষণা না করলে কোনোভাবেই ভোটের দিন পিছতে পারবেনা তাঁরা। কারণ সাধারণ নিয়মে একবার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেলে তা আর পিছানো যায় না, এমনটাই দাবি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের।