সংক্ষিপ্ত

  • শুক্রবারই দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ
  • সাংবাদিক বৈঠকে বাংলা নিয়ে মন্তব্য করেন বিজেপি সভাপতি
  • এই মন্তব্য নিয়েই আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল
     

নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের সাংবাদিক বৈঠক নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। এ দিন দিল্লিতে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে মোদী-শাহ জুটি। সেই সাংবাদিক বৈঠক থেকেই অমিত শাহ অভিযোগ করেন, বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, খুন হয়েছেন বিজেপি-র আশিজন কর্মী। বাংলায় বিজেপি খুব ভাল ফল করবে বলেও দাবি করেন অমিত শাহ।

বিজেপি সভাপতির এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের অভিযোগ, বাংলায় ভোটের প্রচার নিয়ে কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও এ রাজ্য নিয়ে মন্তব্য করে আদর্শ আচরণবিধি ভেঙেছেন বিজেপি সভাপতি। ৩২৪ ধারা লাগু করার পরেও কী করে বাংলা নিয়ে এভাবে সাংবাদিক বৈঠকে মন্তব্য করে মমতাকে আক্রমণ করলেন বিজেপি সভাপতি, সেই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। তৃণমূল মহাসচিবের পাল্টা দাবি, "ওঁরা আশিজন খুন হওয়ার কথা বলছেন, আটজনের নাম বলতে পারবেন?"

প্রসঙ্গত এ দিন দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে বিজেপি-র বিরুদ্ধে মমতার অভিযোগ প্রশ্ন করা হয় অমিত শাহকে। জবাবে তিনি বলেন, "বাংলায় বিজেপি-র আশিজন কর্মী মারা গিয়েছেন। আমরা তো গোটা দেশে লড়ছি, কেরল, তামিলনাড়ু কোথাও তো এমন হচ্ছে না। তাহলে বাংলায় কেন হচ্ছে? আপনারা পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই প্রশ্নটা করুন।" এ দিন অন্যান্য রাজ্যে ভাল ফলের কথা বললেও বাংলায় খুব ভাল ফল হবে বলে দাবি করেন অমিত শাহ।

বাংলায় বিজেপি-র ভাল ফল করা নিয়েও বিজেপি-কে কটাক্ষ করেছেন পার্থ। স্পষ্টই মুকুল রায়ের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, "গদ্দারের কথায় ভরসা করে ওঁরা ভাল ফলের আশা করছে, ওঁরা জানেনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ওঁরা যে টাকা ঢালছে, তা জলে যাবে। দিল্লিতে কেন, ক্ষমতা থাকলে বাংলায় এসে ভাল ফল করার কথা বলুক।"

এ দিন নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও ফের একবার সরব হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ করে তিনি বলেন, "নির্বাচন কমিশনের মোদী-শাহ জুটির জন্য এক নিয়ম, আর বিরোধী দলগুলির জন্য অন্য নিয়ম। এক এক সময় তো মনে হয় ওটা বিজেপি-র এক্সটেন্ডে়ড অফিস। আমরা তো সবমিলিয়ে প্রায় এক হাজার চিঠি লিখেছি নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুলে। কোনওক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি. দলের মধ্যে আলোচনা করে প্রয়োজনে ফের একবার অভিযোগ জানাব।"

প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগে কলকাতায় রোড শোতে এসে অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, বাংলায় তাঁদের ষাটজন কর্মী-সমর্থক খুন হয়েছেন। এ দিন সেই সংখ্যাটাই একলাফে আরও অনেকটা বাড়িয়ে দিলেন বিজেপি সভাপতি।