সংক্ষিপ্ত

দেশ সহ সারা রাজ্য জুড়ে করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। এদিকে  কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই  অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই  দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাটা নিউল্য়ান্ড গ্রাউন্ডে ধুমধাম করে চলছে এমপি কাপের ফাইনাল।

রাজ্য়ে লাগামছাড়া কোভিডের মাঝে অভিষেকের (TMC MP Abhishek Banerjee )উপস্থিতিতেই  দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ধুমধাম করে চলছে এমপি কাপের ফাইনাল ( MP Cup Final)। দেশ সহ সারা রাজ্য জুড়ে করোনার গ্রাফ (Covid Graph)ঊর্ধ্বমুখী। এদিকে মানুষের সচেতনতার অভাব প্রত্যেকটা জায়গাতেই বলে মত রাজনৈতিক মহলের। আগামী ৩ তারিখ থেকে আংশিক লকডাউন (Partially Lockdown) এর পথে হাঁটছে  চলেছে রাজ্য সরকার। সেখানে এক বিরূপ চিত্র দেখা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। 

শনিবার কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই  দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাটা নিউল্য়ান্ড গ্রাউন্ডে ধুমধাম করে চলছে এমপি কাপের ফাইনাল। এবং ইতিমধ্যেই উপস্থিত অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। তৃণমূলের যুবরাজের উপস্থিতিতে হচ্ছে ফুটবল খেলা। সেই খেলা দেখবার জন্য উপস্থিত হয়েছে মাঠে মানুষ জন। খেলা শেষে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। খ্যাতনামা শিল্পী সান সহ আরও টলিউডের প্রচুর শিল্পীরা উপস্থিত। পাশাপাশি মাঠজুড়ে চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রসঙ্গত, রাজ্যে আচমকাই বেড়ে গিয়েছে কোভিড সংক্রমণ। তার উপর শুরু হয়েছে কোভিডের নিউ ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রণের হানা। ডিসেম্বরের শুরুতে স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে দৈনিক কোভিড সংক্রমণের আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৫৭ জন। যার মধ্য়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণায় আক্রান্ত হয়েছিল ৫৭ জন। সেখানে ১ জানুয়ারি ২০২২ সালে দাঁড়িয়ে মাত্র ১ মাসের ব্যবাধানে স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে দৈনিক কোভিড সংক্রমণের আক্রান্তের সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫১২ জনে। আর এই মুহূর্তে গত চব্বিশ ঘন্টায়  দক্ষিণ ২৪ পরগণায় আক্রান্ত হয়েছে ১৯৮ জন। তবে রাজ্যের জেলাভিত্তিক কোভিড সংক্রমণের তালিকা এই মুহূর্তে লাগামছাড়া পরিস্থিতি কলকাতায়। গত চব্বিশ ঘন্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৩৯৮ জন। যা রীতিমতো স্বাস্থ্য দফতরের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। আর এই কোভিড পরিস্থিতিতে এমপি কাপের ফাইনালের জমায়েত নিয়ে চাপান উতোর তাই রাজনৈতিক মহলেও।

অপরদিকে রাত পেরোলেই আবার ত্রিপুরা সফরে যেতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। পুরভোটে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর বাড়ি দেখা করবেন তিনি। এছড়া রবিবার তার একধিক কর্মসূচি রয়েছে সেখানে। এদিকে একুশ সালের অক্টোবারে এই কোভিড ইস্যুই অভিষেকের ত্রিপুরা সফরের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যদিও  তৃণমূলের দাবি ছিল, ওই সভা বাতিল করতে কোনও চেষ্টাই বাকি রাখেনি ত্রিপুরার বিজেপির সরকার।  প্রথমে করোনা রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়। আরটি-পিসিআর টেস্ট নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করে ত্রিপুরার সরকার। যদিও এরপর ত্রিপুরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় দল।  তৃণমূলের আবেদনের প্রেক্ষিতে ত্রিপুরা হাইকোর্ট জানায়,  সভা করতে পারবেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তবে করোনার কারণে ৫০০ জনের বেশি জমায়েত হওয়া যাবে না। তবে তার পরে সংক্রমণ ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশে কমেও আসে। সর্বোচ্চ ভ্যাকসিনেশন করায় মোদী সরকার। তবে এই মুহূর্তে কোভিডের নতুন করে লাগামছাড়া সংক্রমণ শুরু হতেই বিশেষজ্ঞদের তৃতীয় তরঙ্গের আশঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে। এহেন পরিস্থিতি কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের জেরে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র, উড়িষ্যা, হরিয়ানা সহ একাধিক রাজ্যে কোভিড বিধি কড়া কড়ি হয়েছে। নাইট কার্ফু জারি করা হয়েছে ওই সকল রাজ্যে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে এখনও রয়েছে শিথিলতা। আর প্রতি চব্বিশঘন্টা লাগামছাড়া সংক্রমণে তাই এবার সত্যিয় চিন্তায় রাজ্যবাসী।