সংক্ষিপ্ত

হাওড়া পুরভোট নিয়ে বাড়ছে জটিলতা। এবার ফের টুইট করে সেই বিতর্ক উসকে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে আলোচনার চাইছেন রাজ্যপাল। 

হাওড়া পুরভোট নিয়ে বাড়ছে জটিলতা। এবার  ফের টুইট করে সেই বিতর্ক উসকে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Governor Jagdeep Dhankhar )। এবার রাজ্যের  অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে আলোচনার চাইছেন রাজ্যপাল। এইমুহূর্তে দার্জিলিংয়ের রাজভবনে রয়েছেন  রাজ্যপাল। অ্যাডভোকেট জেনারেলকে যতদ্রুত সম্ভব এই হাওড়া পুরনিগম সংক্রান্ত সংশোধনী বিলের (Howrah Municipal corporation bill )যাবতীয় তথ্য দিতে বলা হয়েছে। 

 

 

২৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে অ্যাডভোকেট জেনারেলের বক্তব্যের এবার ব্য়াখ্যা চাইলেন রাজভবন। শনিবার এই নিয়ে টুইট করলেন রাজ্যপাল  জগদীপ ধনখড়। তিনি টুইটে লিখেছেন, হাওড়া পুরনিগম সংশোধন বিল সম্পর্কিত সব তথ্য অ্যাডভোকেট জেনারেল দেওয়ার দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব অ্যাডভোকেট জেনারেল যাতে রাজ্যপালকে এই বিষয়ে জানান, তাও বলা হয়েছে। সঙ্গে জানানো হয়েছে, এইমুহূর্তে দার্জিলিংয়ের রাজভবনে রয়েছেন  রাজ্যপাল। মূলত,  কলকাতা হাইকোর্টে সম্প্রতি  রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র মুখোপাধ্যায় জানান যে, রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড় হাওড়া পুরবিলে সই করেছেন। এদিকে কোনও পুরবিলে সই করেননি বলে দাবি জানিয়েছেন রাজ্যপাল। সৌমেন্দ্র মুখোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টে জানান, 'হাওড়া ও বালি পুরসভার বিলে সই করেছেন রাজ্যপাল।তাই সেখানে ভোট হতে আর কোনও সমস্যা নেই।' 

এদিকে এরপরেই শুভেন্দু অধিকারি দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে রাজ্যপালের কথা হয়েছে। তিনি কোনও পুরবিলে সই করেননি বলেই জানিয়েছেন। এরপরে রাজ্য়পালের এই টুইটের পরেই বাড়ে জটিলতা। শুভেন্দু  বলেছেন, টিভিতে আমি দেখেছি যে, হাওড়া বিল রাজ্যপাল ছেড়ে দিয়েছে। আমি মাননীয় রাজ্যপালকে জিজ্ঞেস করার সুযোগ পেয়েছিলাম, এটা সত্য়ি কিনা। রাজ্যপাল   জানিয়েছেন, তিনি কোনও বিল  ক্লিয়ার করেননি।এটা এখনও পেন্ডিং রয়েছে।' রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্তও এই একই কথা বলেন। তারপরেই টুইটে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় লেখেন, 'হাওড়া পুরনিগম সংশোধনী বিলটি এখনও রাজ্যপালের বিবেচনাধীন।'

যদিও শনিবার রাজ্যপালের এই তলব নিয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, 'রাজ্যপালকে ডাকতেই পারেন। কী কথা হবে তাঁরাই জানেন। তবে আমরা দেখেছি, অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে গিয়ে মিথ্যে তথ্য দিয়েছেন। পরের দিন শুধরে েনেন।' প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভা ভোটের সঙ্গে এবার হাওড়া পুর ভোট না হওয়ায় সরব শাসকদল। বিশেষ করে হাওড়া পুরভোটের দেরী হওয়ার জন্য রাজ্যপালকে দায়ী করেছেন  বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়।বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়ের অভিযোগ, হাওড়া থেকে বালি পুরসভা আলাদা করার জন্য বিলে রাজ্যপাল সই করেছেন। আর সেই কারণেই হাওড়ায় ভোট করানো সম্ভব হচ্ছে না।