সংক্ষিপ্ত
মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কের হাত বড় স্কোর করতে শুরু থেকেই শান্তনু ঠাকুর, সুব্রত ঠাকুরের উপর ভরসা করেছিল পদ্ম শিবির। এদিকে সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর থেকেই নতুন দোলা লাগে বিজেপির অন্দরে।
ফাটল আরও চাওড়া হয়েছিল বিধানসভা(Assembly Election) ভোটের সময় থেকেই। তবে মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কের হাত বড় স্কোর করতে শুরু থেকেই শান্তনু ঠাকুর, সুব্রত ঠাকুরের(Shantanu Thakur, Subrata Thakur) উপর ভরসা করেছিল পদ্ম শিবির। এদিকে সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি(state president Sukanta Majumdar) হওয়ার পর থেকেই নতুন দোলা লাগে বিজেপির(BJP) অন্দরে। এদিকে বিধানসভা ভোটের পর বর্তমানে কলকাতা পুরভোটেও(KMC election 2021) বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। আর তার পরেই রাজ্য কমিটির পর জেলা কমিটিতেও সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদল করা হয়েছে। সম্প্রতি বিজেপি-র নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে তাতে ঠাঁই হয়নি কোনও মতুয়া প্রতিনিধির। আর তাতেই রাগে বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ(WhatsApp group) ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন পাঁচ বিজেপি বিধায়ক(Five BJP MLAs)। এরা প্রত্যেকেই মতুয়া সম্প্রদায়ভুক্ত(Matua community) বলে জানা যাচ্ছে। তালিকায় রয়ছে সুব্রত-শান্তনুরা। তাদের গ্রুপ ত্যাগের খবর মিলতেই এবার তাদের তৃমমূলে ফেরার আহ্বান জানাতে দেখা গেল মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর।
এদিকে মতুয়াদের মধ্যে প্রভাবশালী গাইঘাটার ঠাকুরবাড়ি দীর্ঘদিন থেকে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের বাতাবরণের মধ্যে রয়েছে। এর আগে শান্তনু ঠাকুর, সুব্রত ঠাকুর তৃণমূল থেরে বিজেপি শিবিরে গেলেও সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা বরাবরই রয়ে গিয়েছে তৃণমূলের সঙ্গে। কিন্তু পুরনো সতীর্থদের বিজেপি-র প্রতি ক্ষোভের কথা শোনা মাত্রই এবার তাদের দলে টানতে মাঠে নেমে পড়লেন মমতাবালা। তবে তার দাবি, তিনি আহ্বান জানালেও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(TMC Leader Mamata Banerjee and General Secretary Abhishek Banerjee)। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরের উপর তীব্র আক্রমণ শানিয়ে মমতাবালা বলেন, ‘‘বিজেপির পাশ থেকে মতুয়ারা সরে যাচ্ছে। এটা বুঝতে পেরেই অনেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। যাঁরা বেরিয়ে গিয়েছেন তাঁদের তৃণমূলে স্বাগত।” তার এই মন্তব্য নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক চাঞ্চল্য শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন-প্রকাশ্য জনসভা থেকে ওসিকে বদলির হুমকি, ফের বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির
অন্যদিকে মনে বিজেপির সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও বর্তমান রাজনৈতিক চাপানউতর নিয়ে সরাসরি মমতাবালাকেই নিশানা করলেন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। কার্যত কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “মমতাবালা ঠাকুর কি রাজনীতি বোঝেন? যে দলে ফিরতে আহ্বান করছেন! আমার তো তা মনে হয় না।” তবে এই ক্ষেত্রে মনে রাখা ভালো দলের সঙ্গে সুব্রতদের দূরত্ব বাড়ছিল তা দীর্ঘদিন থেকেই পরিষ্কার।বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই সুব্রতকে সেভাবে দলের বৈঠকে দেখা যায়নি। যদিও এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি তার উত্তর দিতে চাননি।