সংক্ষিপ্ত
পুরভোটের দামামা বেজে গিয়েছে রাজ্যে। ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮টি পুরভায় ভোট রয়েছে। ইসলামপুর পুরসভাতেও সেই দিনও ভোট হবে। এই পুরভোটে ইসলামপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জাকির হোসেনকে বসিয়ে দেওয়ার জন্য এক সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ইসলামপুরের বিধায়ক তথা বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা আবদুল করিম চৌধুরী।
'ইসলামপুর পুর নির্বাচনে (Islampur Municipality) তৃণমূল নেতাই (TMC Leader) সন্ত্রাস চালাবে'। এমনই অভিযোগ তুললেন খোদ বিধায়ক তথা বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা আবদুল করিম চৌধুরী (Abdul Karim Chowdhury)। যদিও তাঁর এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা পুরভোটের তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল অগরওয়াল (Kanailal Agarwal)। তাঁর দাবি, 'শুধুমাত্র ইসলামপুর পুরভোটই নয়, জেলার কোনও পুরভোটেই কোনও সন্ত্রাস হবে না। বিগত নির্বাচনগুলিতেও ইসলামপুরে কোনও দিন সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়নি। এবারও হবে না।' পাশাপাশি বিধায়ক সাংবাদিক বৈঠক করে এই মন্তব্য করে একেবারেই ঠিক করেননি বলে জানিয়েছেন কানাইয়ালাল অগরওয়াল।
পুরভোটের (WB Municipal Election 2022) দামামা বেজে গিয়েছে রাজ্যে। ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮টি পুরভায় ভোট রয়েছে। ইসলামপুর পুরসভাতেও সেই দিনও ভোট হবে। এই পুরভোটে ইসলামপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জাকির হোসেনকে বসিয়ে দেওয়ার জন্য এক সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ইসলামপুরের বিধায়ক তথা বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা আবদুল করিম চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, "এই জাকির হোসেন ও তাঁর অনুগামীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করে এবং যেখানে সেখানে গন্ডগোল বাধায়। এই পুরসভার ভোটের প্রচারে যদি জাকির হোসেন ও তাঁর অনুগামীরা পাড়ায় পাড়ায় যায় তাহলে গন্ডগোলের সম্ভাবনা থাকবে। একটা সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হবে।"
আরও পড়ুন- রাতের অন্ধকারে পোড়ানো হল বিজেপির পোস্টার-ব্যানার, উত্তেজনা পুরুলিয়ায়
প্রবীণ বিধায়কের এই অভিযোগ খারিজ করে দেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কানাইয়ালাল অগরওয়াল। তিনি জানিয়েছেন, "বিগত দিনের কোনও নির্বাচনেই কোনওরকম সন্ত্রাস হয়নি এবং আগামী নির্বাচনেও হবে না। এটা আমি দায়িত্বের সঙ্গে দাবি করছি।" তিনি আরও বলেন, "ইসলামপুর তৃণমূল ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন নিজেও প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দলের কারও কোনও অভিযোগ নেই। আবদুল করিম চৌধুরীর মতো একজন বিচক্ষণ রাজনীতবিদের এই ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া উচিত নয়। এটা বিধায়কের ব্যক্তিগত বক্তব্য, এ নিয়ে দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।"
এদিকে গতকালই রাজ্যের চার পুরনিগমের ফলপ্রকাশ হয়েছে। সেখানে চারটি পুরনিগমেই চারে চার তৃণমূল। এর জন্য তৃণমূলের সন্ত্রাসকে দায়ি করেছে বিজেপি। বিজেপির তরফে কটাক্ষ করা হয়েছে মমতাকে। বলা হয়েছে, 'সন্ত্রাসবাদীদের ধন্যবাদ জানান।' এছাড়া পুরনিগম নির্বাচনে ভোট লুঠের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন জেলায় অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপি। তাদের দাবি ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের চারটি পুরনিগমের নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাস হয়েছে। আর তারপরই খোদ দলের নেতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। যা নিয়ে দলের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।