সংক্ষিপ্ত
গোটা ঘটনার দায় ঝেড়ে ফেলে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝালদা শহর সভাপতি দেবাশিস সেন বলেন ঝালদায় বিজেপির ঘাঁটি শক্ত নয়। এসব সাজানো ঘটনা তৃণমূলের ওপরে চাপিয়ে নজর কাড়ার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির।
ভোট (Municipal Election) যত সামনে আসছে ততই উত্তেজনার পারদ চড়ছে পুরুলিয়ায় (Purulia)। এবার ঝালদা পৌরসভায় (Jhalda Municipality) বিজেপির পোস্টার ব্যানার (poster banners of BJP) পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন পুরুলিয়ার সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।
এদিকে গোটা ঘটনার দায় ঝেড়ে ফেলে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝালদা শহর সভাপতি দেবাশিস সেন বলেন ঝালদায় বিজেপির ঘাঁটি শক্ত নয়। এসব সাজানো ঘটনা তৃণমূলের ওপরে চাপিয়ে নজর কাড়ার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। এবার ১২তে ১২ই দখল করবে তৃণমূল কংগ্রেস।
ঝালদা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন বিজয় ভকত। তিনি অভিযোগ করেন বিজেপির ব্যানার পোস্টার লাগানো হয়েছিল সোমবার। তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ঝালদা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঝালদায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ঘটনা নেই। শাসক দল এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করছে। তারা ঝালদাতে বিরোধীশূণ্য করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী বিজয় ভকত।
পুরুলিয়ার অন্যান্য পৌরসভার মতো ঝালদা পৌরসভায় এবার ১২টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি পুরুলিয়ার তিনটি পৌরসভায় ভালো ফল করবে বিজেপি। এদিকে, প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখছে না কোনও রাজনৈতিক দলই। সংগঠনকে চাঙ্গা করার কাজে প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে সমান তালে। বিজেপি থেকে শুরু করে, তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে সবাই।
পুরভোটের (Municipal Election) দামামা বেজে গিয়েছে। রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোটের পরই বকেয়া পুরসভায় ভোট হবে। আর সেই কারণেই শাসকদল (TMC) থেকে শুরু করে বিরোধীরা এখন জোরকদমে প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। আসলে এই সময় প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না তাঁরা।
এদিকে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১২৭টি পৌরসভার নির্বাচন। কিন্তু, প্রার্থী তালিকা নিয়ে রাজ্য জুড়ে ইতিমধ্যেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, প্রার্থী তালিকা নিয়ে কোথাও কোথাও অসামঞ্জস্য ছিল, সেগুলি দূর করে রবিবারই দলের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমোদিত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা জেলা সভাপতিদের পাঠানো হয়েছে। সেখানে সুব্রত বক্সীর নিজের সই রয়েছে। ফলে প্রার্থী তালিকা নিয়ে নতুন করে অসন্তোষ বা বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়।